বিজেপির গড়ে একমাত্র জয়ধ্বজা তুলেছেন তিনি। আর তাঁর জন্যই মোদীর গুজরাতে মুখরক্ষা হল কংগ্রেসের। তিনি গেনিবেন ঠাকোর। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে গুজরাতে কংগ্রেসের একমাত্র জয়ী প্রার্থী। পদ্মের ভিড়ে হাত ফুটিয়ে তিনিই এখন নজর কাড়ছেন।
২৬টি আসনের মধ্যে গুজরাতে ২৫টিই বিজেপির দখলে। গত নির্বাচনে সব ক’টি আসন ধরে রাখতে পারলেও, এ বার কিন্তু সমীকরণ পাল্টে দিয়েছে বনাসকাঁটা! পদ্মের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত সেই বনাসকাঁটাতেই এ বার প্রার্থী হয়েছিলেন কংগ্রেসের গেনিবেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন রেখাবেন চৌধরি। বিজেপি মোটের উপর নিশ্চিতই ছিল, এ বারও ২৬-এর মধ্যে ২৬টিই পাবে তারা। কিন্তু সেই পাশা পাল্টে দিলেন গেনিবেন। বিজেপির রেখাবেনকে ৩০ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়ে বনাসকাঁটায় হাত-এর জয়নিশান উড়িয়েছেন গেনিবেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, গেনিবেনকে এই আসনে প্রার্থী করা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ভোটপ্রচারের জন্য তাঁকে কোনও আর্থিক ‘সহযোগিতা’ করেনি দল। কিন্তু প্রচার থামাননি গেনিবেন। প্রচারের জন্য যে খরচ, সেই টাকা তিনি তুলেছিলেন সাধারণ মানুষ এবং দলীয় কর্মী-সমর্থদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে। জনতার দেওয়া চাঁদায় শেষ পর্যন্ত প্রচারকাজ চালিয়ে গিয়েছেন গেনিবেন। তার ফলও হাতে হাতে পেয়েছেন। বনাসকাঁটা তাঁকে উজাড় করে দিয়েছে ভোট। আর তাতেই ভর করে জয় পেয়েছেন গেনিবেন।
একেবারে তৃণমূল স্তর থেকে উঠে এসেছেন গেনিবেন। ২০১২ সালে প্রথম বিধানসভা ভোটে লড়েছিলেন তিনি। ভাও বিধানসভা আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু জিততে পারেননি। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ঝড় বইলেও, একমাত্র এই গেনিবেনই ভাও বিধানসভা আসনে পদ্মের দুঁদে প্রার্থী তথা বনাস ডেয়ারির চেয়ারপার্সন শঙ্কর চৌধরিকে হারিয়েছিলেন।