—প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যে ১৭টি আসনে প্রার্থী আগেই দিয়েছে বামফ্রন্ট। তার পরে কংগ্রেসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে ৮টি আসনে প্রার্থীদের নাম। কংগ্রেসের সঙ্গে কয়েকটি আসন নিয়ে রফার আলোচনা এখনও চলছে সিপিএমের। তবে যে সব আসন ঘিরে টানাটানি নেই, এমন কিছু কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম আজ, শনিবার ঘোষণা করে দিতে পারে বামফ্রন্ট।
আসন ভাগাভাগির বিষয়ে শুক্রবার ফের দুই বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক এবং সিপিআইয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বসেছিল সিপিএম। শরিকদের তরফে আসন ছাড়া না হলে কংগ্রেস বা আইএসএফ-কে সমঝোতায় শামিল করা যে মুশকিল, সে কথাই ফের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, পলিটব্যুরো সদস্য সূর্যকান্ত মিশ্রেরা। তবে বাম সূত্রের খবর, পুরুলিয়া আসন ঘিরে জট এখনও ছাড়েনি। কংগ্রেস ওই আসনে নেপাল মাহাতোকেই আরও এক বার প্রার্থী করেছে। কিন্তু ফ ব পুরুলিয়ার দাবি ছাড়তে নারাজ। এমন পরিস্থিতিতে বামফ্রন্টের তরফে পুরুলিয়া কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা না-ও করা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফ ব দলীয় ভাবে ওই একটি আসনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তবে সবটাই চূড়ান্ত হবে আজ বামফ্রন্টের বৈঠকে আলোচনার পরে।
সিপিএম বা বামফ্রন্ট রাজি না থাকলে নিজেরা জোর করে কোনও আসনে অবশ্য লড়াইয়ের পথে যেতে চাইছে না আর এক শরিক সিপিআই। দলের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘‘বামফ্রন্ট বা বা ঐক্য ভাঙার দায় আমাদের উপরে এসে পড়ুক, আমরা কোনও ভাবেই চাই না। যা হবে, আলোচনার ভিত্তিতেই ঠিক হবে।’’ উত্তর ২৪ পরগনায় বসিরহাট আসন সিপিআই লড়লে বনগাঁ কেন্দ্র কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সিপিএমে। বারাসতে এ দিন সিপিএমের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির বৈঠকেও বিষয়টি আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, উদ্বাস্তু, মতুয়া এবং তফসিলি ভোটের কথা মাথায় রেখে বনগাঁয় প্রার্থী বাচাইয়ের কথা বলছেন সিপিএম নেতৃত্ব। দলের একাংশের প্রস্তাব, নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি)-বিরোধী আন্দোলনের মুখ এমন কাউকে প্রার্থী করে তাঁকে বাম ও কংগ্রেস, দু’পক্ষই সমর্থন করতে পারে। কংগ্রেসের একাংশ আবার উত্তর ২৪ পরগনার শিল্পাঞ্চলে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে আগ্রহী। সব মিলিয়ে রাজ্যে গোটাচারেক আসন ঘিরে এখনও জট রয়েছে বাম শিবিরে।
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর তরফে উত্তর ২৪ পরগনার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সুজন চক্রবর্তী এ দিন বারাসতে বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘বারাসত আসনে ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দেবে। অন্য আসনে সমঝোতা করতে আলোচনা চলছে। সবাই নিজের মতো করে প্রার্থী দিলে তার একটা প্রভাব তো পড়বেই। সেটা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’’