—প্রতীকী চিত্র।
মৃত ভোটারদের নামে পোস্টাল ব্যালট দেওয়ার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন, মঙ্গলবার রাতে নির্বাচন কমিশনে ‘ই-মেল’ করে এমনই অভিযোগ জানিয়েছে সিপিএম। বুধবার প্রশাসনের আধিকারিকেরা এলাকায় পরিদর্শনে গেলে সিপিএম কর্মীরা প্রতিবাদ জানান। শেষে কোনও পরিবারে কেউ মৃত থাকলে, সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে একটি ঘোষণাপত্র লিখিয়ে নেন আধিকারিকেরা। নির্বাচনের কাজে যুক্ত প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, মনোনয়ন চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত পোস্টাল ব্যালট দেওয়া যায় না।
দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভা এলাকার মধ্যে শহরের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিকনগরের ২৬১ নম্বর বুথে এই চাপানউতোর তৈরি হয়। সিপিএমের দাবি, ওই বুথে যে ৯ জনকে পোস্টাল ব্যালট দেওয়ার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৫ জন মৃত। দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকারের দাবি, নির্বাচনে তৃণমূলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই মৃতদের নামে এ ভাবে সব বুথে পোস্টাল ব্যালট দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, “এমন সব নানা কারচুপি করেই বছরের পর বছর ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। লোকসভা ভোট পরিচালনা করে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। সিপিএমের যা বলার সেখানে বলুক। তৃণমূলকে মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে
ভোট দেন।”
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, আশি বছরের ঊর্ধ্বের বাসিন্দা ও প্রতিবন্ধীদের পোস্টাল ব্যালট দেওয়ার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তালিকা ধরে ধরে তেমন ভোটারদের পোস্টাল ব্যালট দেওয়া হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার প্রশাসনের আধিকারিকেরা শ্রমিক নগরের ২৬১ নম্বর বুথে যান। খবর পেয়ে পৌঁছে যান সিপিএমের কর্মীরা। তাঁরা ওই আধিকারিকদের কাছে পুরো বিষয়টি জানান। এর পরে পরিবারের কাছ থেকে মৃত্যুর ঘোষণাপত্র লিখিয়ে নেওয়া হয়।
নির্বাচনের কাজে যুক্ত প্রশাসনের এক আধিকারিক জানান, সিপিএমের তরফে মৃত ভোটার সংক্রান্ত একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।