Lok Sabha Election 2024

বীরভূমে দেবাশিস বিজেপি প্রার্থী হতে পারেননি কেন? পদ্মের দাবি উড়িয়ে মমতা জানালেন অন্য কারণ

রবিবার মালদহ উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনের সভায় নাম না করে বীরভূমের প্রার্থী হতে চাওয়া বিজেপির দেবাশিস ধরের মনোনয়ন নিয়ে মন্তব্য করেন মমতা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৮:০৭
Share:

(বাঁ দিকে) দেবাশিস ধর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

প্রাক্তন পুলিশকর্তা দেবাশিস ধর তাঁর চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপির হয়ে বীরভূম থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। এর পরে বিজেপি একনাগাড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আঙুল তুলে চলেছে। সে প্রসঙ্গে প্রথম বার মুখ খুললেন মমতা। কেন তাঁর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, তা-ও জানিয়ে দিলেন তিনি। রবিবার মালদহ উত্তরের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভায় নাম না করে দেবাশিসের মনোনয়ন নিয়ে মন্তব্য করেন মমতা। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে মালদহ উত্তর আসনটি জিতে নিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। এ বার সেই আসনে জয় পেতে প্রাক্তন পুলিশকর্তাকে প্রার্থী করেছেন তিনি। তাঁর সমর্থনে প্রচারের শুরুতেই মমতা বলেন, ‘‘এ বার আমার প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। " আমি আপনাদের একটু বলি। এমন এক জন আইপিএস (দেবাশিস ধর) দেখলেন, যাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হলেও, প্রার্থী হতে পারলেন না, ত্রুটি ছিল বলে।’’ এর পরেই নিজের প্রার্থী প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রসূন এমন এক জন মানুষ, যে পুলিশের সব মহলে কাজ করেছে। কিন্তু ওর নামে কোনও দিন কোনও মানুষ মারার বদনাম ছিল না। ওর নামে কোনও দিনও কোনও অভিযোগ ছিল না। ওর নামে কোনও দিনও গুলি চালানোর অভিযোগ ছিল না। ও চিরকাল দৌড়ে গিয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় কোচবিহারের পুলিশ সুপার ছিলেন দেবাশিস। সেই সময় শীতলখুচিতে ভোটের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্ব দেবাশিসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন। নাম না করে সেই ঘটনার কথাই রবিবার বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

মমতা সেই সঙ্গে বলেন, ‘‘এত দিন যাদের ভোটে জিতে এল, তারাই নাকি অনুপ্রবেশকারী, সবাই যদি অনুপ্রবেশকারী হয় তা হলে আপনিও অনুপ্রবেশকারী প্রধানমন্ত্রী। আমিও তা হলে অনুপ্রবেশকারী মুখ্যমন্ত্রী। সব পঞ্চায়েত, বিধানসভাও তাই।’’ মমতা আরও বলেন, ‘‘ভোটের সময় এঁদেরই ভোট নিয়ে জেতে। তার পর সব ভুলে যায়, মানুষকে বোকা বানায় বিজেপি। ছলনা করে সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ায় নেতারা।’’

এ বারের লোকসভা ভোটে দুই প্রাক্তন আইপিএস প্রার্থী হয়েছিলেন। মালদহ উত্তরে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন প্রসূন আর বীরভূমে বিজেপির প্রার্থী হন দেবাশিস। দু‘জনেই দিল্লিতে নিজেদের ইস্তফাপত্র দেন। উভয়েরই ইস্তফাপত্র গৃহিত হয়। যে হেতু তাঁরা পশ্চিমবঙ্গে কর্মরত ছিলেন, প্রসূন-দেবাশিস দু’জনকেই রাজ্য সরকারের থেকে ছাড়পত্র নেওয়া প্রয়োজনীয় ছিল। এ ক্ষেত্রে রাজ্যের তরফে প্রসূনকে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও, দেবাশিসকে দেওয়া হয়নি, এমনটাই অভিযোগ বিজেপি। শুক্রবার দেবাশিসের মনোনয়ন বাতিল হলে, এই অভিযোগ তুলে মমতার বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি। আর রবিবার প্রাক্তন পুলিশকর্তার প্রচারে গিয়ে এ প্রসঙ্গে নাম না করে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, দেবাশিসের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে ত্রুটির কারণেই। রাজ্য সরকারের যে আদৌ কোনও ভুমিকা নেই সেটাই কিছু না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement