‘‘প্রধানমন্ত্রী কী যে বলেন! তাঁর হাঁটুর বয়সি একটা ছেলে, তাঁকে বলছেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হবে! একটা লোক বোঝেন না, কী বলা উচিত, কী নয়।’’ অভিষেককে পাশে নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘আড়াই বছর বয়স থেকে ও রাজনীতি করে।’’
‘‘আমরা মহেশতলায় একটি পোশাক হাব তৈরি করছি। দর্জিদের অনেক আশা ছিল। আপনাদের অনেক আশা ছিল। এখানকার দর্জিদের জন্য আমরা এই ব্যবস্থা করছি।’’
‘‘একটাই দল, যে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের মতো লড়বে বিজেপির বিরুদ্ধে। ঝুঁকেগা নহি। খেলা হবে।’’ হুঁশিয়ারি মমতার।
‘‘আপ কবর সে ডরতে হো, অউর কফন মেরা ইন্তেজ়ার করতা হ্যায়।’’ নিজের লেখা শায়েরি ফিরহাদ হাকিমকে দিয়ে পড়ালেন মমতা।
‘‘মোদী সরকারকে বদল করা ভীষণ জরুরি। শুনুন, আমাদেরও অনেক ধমকান অনেক সময়ে। কিন্তু আমাদের হুমকি দিয়ে কিছু করা যাবে না। আমরা লড়তে পারি। আমাকে, অভিষেককে অ্যারেস্ট করবে বলে। তো করো না? কত কারাগার আছে, দেখো অ্যারেস্ট করে।’’ মেটিয়াবুরুজে বলেন মমতা। তিনি এ-ও বলেন, ‘‘তৃণমূলের কেউ যদি চোর হয়, তা হলে প্রমাণ করুন।’’
‘‘দেখে নেব কার কত গায়ের জোর। আমরা শিক্ষক নিয়োগ মামলা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছি। আমার কাছে সবাই সমান।’’ মমতা তার আগে বলেন, ‘‘মোদীজি কাল যেখানে রোড-শো করেছেন, সেই রাস্তাতেই মিছিল করে এসেছি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোসের যে স্ট্যাচু, সেখান থেকে বিবেকানন্দের বাড়ি পর্যন্ত গিয়েছিলাম। মোদী গিয়েছিলেন রাজনীতি করতে। আমি গিয়েছিলাম, প্রতিবাদ করতে। আর নেতাজিকে স্যালুট জানাতে। আজও লোকে জানেন না, কোথায় গেলেন সুভাষচন্দ্র!’’
‘‘তৃণমূল কংগ্রেস মরে গেলেও সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপির যত দিন গঠবন্ধন থাকবে, তত দিন, আমি সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে বাংলায় কোনও অ্যাডজাস্ট করব না। আমি আজও আপনাদের একটা তথ্য দিচ্ছি। ক্রসচেক করে নিন। অনেক জায়গায় এই জিনিস হয়েছে। দমদমে সিপিএম পার্টি ঠিক করেছে, তাদের এমপি ভোটটা বিজেপিকে দেবে। আর বরাহনগরে যে এমএলএ ভোটটা... এই যে অভিষেক এটা শুনে রাখো...অ্যামেম্বলির ভোটটাও সিপিএম বিজেপিকে দেবে। কিছু শুনলেন? আপনার এলাকায় টাকা আসছে নাকি? না এলে আসবে। এটা বিজেপির ছলনা। আর সবচেয়ে বড় কুলাঙ্গার পার্টি সিপিএম। এদের ছাড়ব না। ছাড়িওনি। ৩৪ বছর লড়াই করেছি। বামফ্রন্টের সবাই খারাপ ছিল না। কিন্তু সিপিএমটা সবচেয়ে বড় অত্যাচারী ছিল। তাই আমরা যদি লড়াই করে সেই বামফ্রন্টকে উপড়ে ফেলতে পারি, মোদী সরকারকেও পারি।’’ তার আগে মমতা এ-ও বলেন, ‘‘মোদী অহংকারে ডুবে গিয়েছেন। ওঁকে মিথ্যাবাদী বলব না তো কী বলব!’’
‘‘কাল পুরো সাউথ কলকাতা মিছিল করব। অভিষেকের এখানে আসা হয়নি আগে। আমি বলেছিলাম, তোর ও দিকে যাব। আজ সুযোগ হয়ে গেল।’’ মেটিবুরুজে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘‘আজও নেতাজির জন্মদিনে জাতীয় ছুটি দেয়নি কেন্দ্র। মোদী গিয়েছিল রাজনীতি করতে। আমি গিয়েছিলাম প্রতিবাদ করতে।’’ তার আগে মমতা অভিষেককে ডেকে নিয়ে বলেন, ‘‘তোকে নিশ্চয়ই পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না। আচ্ছা, আয় অন্যদের মতো তোর সঙ্গে সবার পরিচয় করিয়ে দিই।’’ অভিষেক উঠে আসতে তাঁকে পাশে নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘ঝড়-জল যা-ই হোক, ও নিজের কেন্দ্রের পাশে থাকে। ওকে বলিও। তুই পারিস বটে। ওর মতো কেউ (সাংসদ) লোকসভা দেখতে পারে না।’’