অনুরাগ ঠাকুর। —ফাইল চিত্র।
বাংলায় এসে তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার প্রচারের জন্য এসে কেন্দ্রীয় যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দফতর এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়েছে বাংলা।’’ বেঙ্গালুরু ক্যাফেতে বিস্ফোরণকাণ্ডে বাংলা থেকে দু’জনের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বাংলায় আইনের শাসন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনুরাগ। দুর্নীতি ইস্যুতেও তিনি খোঁচা দেন তৃণমূলকে। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল সরকারের আমলে শুধু দুর্নীতিই হয়েছে। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি— সর্বত্র একই চিত্র। এ বার তো জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার কথাও উঠে আসছে। গোটা দেশ থেকে বেরিয়ে কেন এখানে এসেই তাদের আশ্রয় মেলে, এটাই একটা বড় প্রশ্ন।’’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। এটা তো জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়। আর সেই বিষয়টি নিয়ে যখন কথা বলছেন এক জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, তখন তাঁর সংযত ভাবে কথা বলা উচিত।’’ গৌতমের সংযোজন, ‘‘দেশের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা ব্যবস্থায় সেনার পাশাপাশি এনআইএ-র মতো সংস্থা থাকে। তাদের এক জন এসপি পদমর্যাদার অফিসার যদি রাজনৈতিক ভাবে জড়িয়ে পড়েন, তাঁরা যদি রাজনৈতিক কাজ করেন তা হলে প্রশ্ন ওঠেই। সেখানে রাজ্য পুলিশ ধরেছে দু’জনকে ধরেছে।’’
অন্য দিকে, অনুরাগ বিজেপির নির্বাচনী ইস্তাহার নিয়ে বলেন, ‘‘বিজেপির ঘোষণাপত্র ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ এই মূলমন্ত্রেই তৈরি। নরেন্দ্র মোদীর মনে উত্তরবঙ্গ নিয়ে আলাদা জায়গা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জন্য নরেন্দ্র মোদী সিন্দুক খুলে দিয়েছেন।’’ দার্জিলিঙের বিজেপি প্রার্থীকে পাশে নিয়ে কর্মীদের এ বার জয়ের ব্যবধান আরও বৃদ্ধি করার পরামর্শ দেন অনুরাগ। পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান প্রসঙ্গেও মন্তব্য করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, ‘‘গোর্খা সম্প্রদায় বা পাহাড়ের মানুষের আবেদন নিয়ে আমরা এর আগেও চর্চা করেছি। তা নিয়ে কিছুটা কাজও হয়েছে। এর সমাধান যদি কেউ দিতে পারেন সেটা নরেন্দ্র মোদী।’’