Lok Sabha Election 2024

প্রচারে বেরিয়ে আবার ‘ক্ষোভের’ মুখে শতাব্দী, বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, ওটা ‘আবদার’!

গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, তাঁদের বক্তব্য অবশ্য শুনেছেন তৃণমূল প্রার্থী এবং বিদায়ী সাংসদ। কিন্তু সাংসদের এক নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামের কয়েক জন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৬:৫৪
Share:

শতাব্দী রায়। —নিজস্ব চিত্র।

গত কয়েক দিন ধরে যেখানেই প্রচারে যাচ্ছেন, প্রায় সব জায়গাতেই গ্রামবাসীদের অভিযোগ এবং দাবি শুনছেন বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। তিন বারের সাংসদকে ঘিরে সোমবারও একদল মানুষ পানীয় জল এবং রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানালেন। প্রচারে যেতে গিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ বীরভূমের সাঁইথিয়া এলাকায় আটকে থাকেন শতাব্দী। আবাস প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ করেন কয়েক জন। তবে বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থীর দাবি, কেউ বিক্ষোভ দেখাননি। তাঁকে বাড়ির মেয়ে এবং দিদি মনে করে নিজেদের অসুবিধার কথা জানাচ্ছেন মানুষ। এটা তাঁদের আবদার। অন্য দিকে, গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, বিদায়ী সাংসদের এক নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘‘আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

Advertisement

সোমবার সাঁইথিয়ার বাতাসপুর এলাকায় ভোটপ্রচারে গিয়েছিলেন বীরভূম লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী। গাড়িতে বাতাসপুর গ্রাম পেরোনোর সময় কয়েক জন মানুষ তাঁর গাড়ি থামান। শতাব্দীর কাছে পানীয় জল এবং রাস্তার দাবি নিয়ে অভিযোগ করেন। গাড়িতে বসেই গ্রামবাসীদের সমস্ত কথা শোনেন তিনি। আশ্বাসও দেন। অন্য দিকে, গ্রামবাসীদের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে পানীয় জলের অসুবিধার কথা বলা হলেও সেই সমস্যার সুরাহা করেনি প্রশাসন। এমনকি, গ্রামে বেশ কিছু রাস্তা সারাই হয়নি।

তবে শতাব্দীর দাবি, তাঁকে ঘিরে কোনও বিক্ষোভ হয়নি। তাঁর গাড়িও কেউ ঘিরে ধরেননি। তিনি কথাবার্তা শুনবেন বলেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘কেউ বিক্ষোভ দেখাননি। মিথ্যা কথা। আমার কাছে আবদার জানিয়েছেন গ্রামের মানুষ।’’

Advertisement

গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, তাঁদের বক্তব্য অবশ্য শুনেছেন তৃণমূল প্রার্থী এবং বিদায়ী সাংসদ। কিন্তু সাংসদের এক নিরাপত্তারক্ষী তাঁদের হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেছেন গ্রামের কয়েক জন। বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায় নামে এক জন গ্রামবাসীদের হয়ে শতাব্দীর সঙ্গে কথা বলছিলেন। সাংসদ চলে যাওয়ার তাঁর অভিযোগ, তাঁকে শাসানি দিয়ে গিয়েছেন বিদায়ী সাংসদের এক ‘সিকিউরিটি’। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে বলে গিয়েছে, যেটা করলেন, তার ফল আপনাকে ভোগ করতে হবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘এখানে ৭০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করেন। ৩০ শতাংশ শহরে। আমাদের ভোটেই জিতে সাংসদ হন ওঁরা। কিন্তু গ্রামে উন্নয়ন হচ্ছে না। আমরা সেটাই জানিয়েছি শুধুমাত্র।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement