— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
বিগত বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচনে কোথায় কোথায় অশান্তি বা গোলমাল হয়েছে, কিংবা কোন বুথে বা ভোট গ্রহণ কেন্দ্র থেকে অনিয়মের অভিযোগ এসেছে, তা আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনে জানাতে হয়েছিল থানাগুলিকে। এ বার সেই তালিকা ধরেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগে রুট মার্চ এবং অঞ্চলভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ করার (এরিয়া ডমিনেশন) কাজ করবে। যা আজ, শনিবার থেকে হওয়ার কথা। লালবাজার জানিয়েছে, প্রথম দফায় কলকাতা পুলিশের জন্য বরাদ্দ সাত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী শহরে নিয়ে আসার জন্য শুক্রবারই তাদের ক্যাম্পে পৌঁছে গিয়েছেন পুলিশকর্মীরা। আজ, শনিবার তাদের শহরে ফেরার সম্ভাবনা আছে। উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর থেকে পাঁচ কোম্পানি, জলপাইগুড়ি এবং বিহারের কিষাণগঞ্জ থেকে বাকি দুই কোম্পানির আসার কথা রয়েছে শহরে। তাদের জন্য ইতিমধ্যেই সাত জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করেছে কলকাতা পুলিশ। এক পুলিশকর্তা জানান, বাহিনী চলে এলেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো তাদের মোতায়েন করা হবে।
লালবাজার জানিয়েছে, যে সাত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসার কথা রয়েছে, তার মধ্যে ভাঙড় এবং পূর্ব ডিভিশনকে দেওয়া হচ্ছে এক কোম্পানি করে। বাকি পাঁচ কোম্পানিকে বাকি আটটি ডিভিশনের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে রুট মার্চ এবং অঞ্চলভিত্তিক নিয়ন্ত্রণের কাজের জন্য। এক পুলিশকর্তা জানান, কোন থানা কত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাবে, তা চুড়ান্ত না হলেও প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, কয়েকটি সেকশনে ভাগ করে থানাগুলিকে দেওয়া হবে। তবে সাতটি জায়গা থেকেই প্রতিদিন ওই কেন্দ্রীয় বাহিনী থানায় যাবে রুট মার্চের জন্য।
পুলিশ সূত্রের খবর, পূর্ব ডিভিশনের কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখা হবে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায়। এ ছাড়া, বাকি বাহিনী থাকার কথা রয়েছে গার্ডেনরিচ, বড়তলা থানা এলাকার বেথুন স্কুল, মৌলানা আজাদ কলেজ এবং কসবার একটি স্কুলে। এ ছাড়া, ভাঙড় ডিভিশনের আটটি থানার জন্য যে বাহিনী দরকার, তা ভাঙড়েই রাখার ব্যবস্থা করেছে লালবাজার। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা স্কুলে থাকতে শুরু করলে স্বাভাবিক পঠনপাঠন ব্যাহত হবে বলে মনে করছে পড়ুয়াদের একাংশ। উল্লেখ্য, গত বুধবারই একটি বৈঠকে ঠিক হয়েছিল, প্রথম দফায় শুক্রবার কলকাতায় সাত কোম্পানি বাহিনী পাঠানো হবে। দ্বিতীয় দফায় আগামী বুধবার আসার কথা রয়েছে বাকি তিন কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর।