—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আসন্ন লোকসভা ভোটে নজরদারির জন্য প্রায় ৯০০ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটে দেশ জুড়ে কাজ করবেন প্রায় ৪৫০ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক। এ ছাড়া থাকছে ৮০০ জন অতিরিক্ত পর্যবেক্ষক। সোমবার নয়াদিল্লিতে নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার সব পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে এই নির্দেশগুলি দিয়েছে কমিশন।
কমিশনের নির্দেশ, নির্ঘণ্ট প্রকাশ হলেই পর্যবেক্ষকদের বুথস্তরে গিয়ে কাজ শুরু করে দিতে হবে। কোনও অভিযোগ পেলেই দ্রুত পদক্ষেপ করতে হবে। সাধারণ ভোটার এবং রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ শুনতে হবে পর্যবেক্ষকদের। যে কেউ ফোন এবং ই মেইল আইডি মারফত অভিযোগ জমা করতে পারবেন। ফোন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হবে। সব ফোন ধরতে হবে পর্যবেক্ষকদের।
কমিশনের নির্দেশ, যে লোকসভা কেন্দ্রে যে পর্যবেক্ষককে নিয়োগ করা হবে, গোটা ভোট প্রক্রিয়া চলার সময় সেখানেই থাকতে হবে তাঁকে। তাঁদের গাড়িতে লাগানো থাকবে জিপিএস যন্ত্র। নিজের মোবাইল, ল্যান্ড লাইন নম্বর, ইমেল আইডি, কোথায় থাকছেন, তা সকলকে জানাতে হবে পর্যবেক্ষকদের। সমাজমাধ্যম, সংবাদ মাধ্যমে তা প্রকাশ করতে হবে, যাতে ভোটার থেকে প্রার্থী, সকলে তা জানতে পারেন। পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে সংযোগ রক্ষার জন্য নিরাপত্তা এবং অন্য আধিকারিক নিয়োগ করতে হবে জেলা নির্বাচনী দফতরকে। পর্যবেক্ষকদের সৎ ভাবে নিজের কাজ চালাতে হবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যথা সম্ভব বেশি সংখ্যক বুথে ঘুরে ঘরে পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে হবে পর্যবেক্ষককে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলতে হবে। বিশেষত সংবেদনশীল এলাকায়। প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলগুলির জনসভার উপরেও নজর রাখতে হবে। কমিশনের আরও নির্দেশ, ভোটের দিন যত বেশি সম্ভব বুথে পরিদর্শনে যেতে হবে পর্যবেক্ষকদের। স্বচ্ছ ভাবে ভোট হচ্ছে কি না, তা-ও দেখতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ সঠিক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা-ও দেখতে হবে পর্যবেক্ষকদের। কোনও দল বা প্রার্থীর সুবিধার্থে যাতে বাহিনীকে ব্যবহার করা না হয়, তা-ও নিশ্চিত করতে হবে।