—প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটে বিজেপি ও তার ‘চালিকা শক্তি’ আরএসএস-কে হারানোর ডাক দিয়ে অধিবেশন করল ‘দেশ বাঁচাও গণমঞ্চ’ শীর্ষক একটি নাগরিক সংগঠন। সমাজের নানা ক্ষেত্রের বিশিষ্ট জনেরা মঙ্গলবার ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে আয়োজিত ওই অধিবেশনে যোগ দিয়েছিলেন। ‘মোদী হটাও’ শীর্ষক ওই অধিবেশনে বিশেষ ভাবে বাংলা-বাঙালির আবেগে শাণ দেওয়া হয়। বিজেপি যদিও এই ধরনের বার্তায় আমল দেয়নি।
অধিবেশনের শুরুতেই কবি জয় গোস্বামীর অডিয়ো এবং কবীর সুমনের লিখিত বার্তা শোনানো হয়। সুমনের বক্তব্য, “বিজেপিকে না হারাতে পারলে বাংলাকে হারাব আমরা।” সেই সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেওয়ার ডাক দেন তিনি। একই সূত্রে মমতার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে আগামী লোকসভা ভোটে ‘বাংলা জয়যুক্ত হবে’ বলে মন্তব্য করেন জয়ও।
অধিবেশনে কেন্দ্র এবং আরএসএস-এর বিরুদ্ধে নানা পদক্ষেপের অভিযোগ করে ১১ দফা প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের জয়কে ‘বাংলার জয়’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। এই সূত্রেই অধিবেশনের সঞ্চালক পূর্ণেন্দু বসুর মন্তব্য, “পৃথিবীর ইতিহাস বার বার প্রমাণ করেছে, কুৎসা, অপপ্রচার, ষড়যন্ত্র, মিথ্যা, অন্যায় কোনও দিন শেষ কথা বলে না। শেষ কথা বলে সত্য, ন্যায় ও মানুষ। যেমন, ২০২১-এ শেষ কথা বলেছিলেন বাংলার মানুষ ও মানুষের নেত্রী। ’২১ সালেও বাংলা জিতেছিল, ‘২৪-এও বাংলাই জিতবে।”
অধিবেশনে যোগ দিয়ে গানে-গানে ‘বিজেপির বিপদ’ ও বর্তমান দেশের অবস্থা সম্পর্কে বার্তা দেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়, নচিকেতা চক্রবর্তীরা। অধিবেশনে যোগ দেন নাট্য ব্যক্তিত্ব মনোজ মিত্র, সাহিত্যিক অমর মিত্র-সহ ক্রীড়া, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সামাজিক ও নারী অধিকার আন্দোলনের মতো সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যক্তিত্ব এবং সংগঠনের নেতৃত্ব।
বিজেপি যদিও এই অধিবেশনকে তীব্র কটাক্ষ করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘অজেয়’ হিসেবে উল্লেখ করে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য অধিবেশনে উপস্থিত লোকজনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সেই সঙ্গে তাঁর তোপ, “বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস লেখা হলে ওঁদের অবদান কলঙ্কজনক অধ্যায়ে উল্লেখ করা থাকবে! বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তাই বিজেপিকে বাংলার থেকে পৃথক রাখার চেষ্টা আদতে রাজনৈতিক অশিক্ষা।”