Lok Sabha Election 2024

যাদবপুরে বুথের কাছে পার্টি অফিস তৃণমূল, সিপিএমের, কমিশনকে দ্রুত বন্ধ রাখার নির্দেশ হাই কোর্টের

মঙ্গলবার বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় থাকতে পারে না। অবিলম্বে ওই কার্যালয় বন্ধ করতে হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০২৪ ১৪:৫৯
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

যাদবপুরে বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে তৃণমূল ও সিপিএমের কার্যালয় অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে রাজনৈতিক দলের কার্যালয় থাকতে পারে না। অবিলম্বে ওই কার্যালয় বন্ধ করতে হবে। প্রাথমিক ভাবে আদালত ওই দু’দলের অস্থায়ী কার্যালয় ভাঙতে বললেও পরে সেখান থেকে সরে আসেন বিচারপতি। তিনি জানান, ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে কোনও ভাবেই বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে কার্যালয় খোলা রাখা চলবে না।

Advertisement

যাদবপুরের দীনবন্ধু অ্যান্ড্রু কলেজে একটি বুথ রয়েছে। ওই এলাকার বিজেপি নেতা ধীমান কুন্ডুর অভিযোগ, বুথের পাশেই তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় রয়েছে। সেখান থেকে ভোটে প্রভাবিত করার আশঙ্কা রয়েছে। হাই কোর্টে তাঁর আইনজীবীর সওয়াল, নির্বাচন কমিশনের ২০০৭ সালের নির্দেশিকা অনুযায়ী কোনও বুথের ২০০ মিটারের কোনও রাজনৈতিক দলের কার্যালয় চলতে পারে না। এ ক্ষেত্রে ওই নির্দেশিকা মানা হচ্ছে না। কোর্টে মামলাকারীর আবেদন, অবিলম্বে ওই কার্যালয় ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিক আদালত।

নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী জানান, সেখানে শুধু তৃণমূল নয়, সিপিএমেরও একটি দলীয় কার্যালয় রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে ওই কার্যালয়গুলি চলে আসছে। সেগুলি অস্থায়ী নির্মাণ। প্রতি বারই ওই দুই দলের কার্যালয়গুলি ভোটগ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে বন্ধ রাখা হয়। এ বারও কমিশন সেগুলি বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেবে। হাই কোর্ট প্রশ্ন তোলে, অস্থায়ী নির্মাণ হলে কেন ওই পার্টি অফিসগুলি ভেঙে দিচ্ছে না কমিশন। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, কমিশনের উচিত দ্রুত ওই নির্মাণগুলি ভেঙে ফেলা। কমিশনের আইনজীবীর বক্তব্য, নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ জেলাশাসক করতে পারেন। কমিশন কোনও নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ করে না। এর পরেই আদালত তৃণমূল ও সিপিএমের কার্যালয় অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।

Advertisement

আগামী ১ জুন সপ্তম দফায় যাদবপুর আসনের ভোটগ্রহণ রয়েছে। তার আগে বুধবার প্রচারের শেষ দিন। অর্থাৎ, আদর্শ আচরণবিধি মোতাবেক ওই দিনই দু’টি পার্টি অফিস ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে কমিশনকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement