তৃণমূলের অভিযোগ খণ্ডন বিএসএফের। — ফাইল চিত্র।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-এর বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ করে এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) আক্রমণ শানিয়েছিল তৃণমূল। তাদের অভিযোগ সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছিল। বালুরঘাট লোকসভার অন্তর্গত একটি নির্দিষ্ট বুথের উল্লেখ করে এই পোস্টটি করা হয় শুক্রবার সকাল ৯টা নাগাদ। সেই মন্তব্যের জবাব এল বিএসএফের তরফে। তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের দাবি, অভিযোগ সত্য নয়। নির্দিষ্ট বুথে মোতায়নই ছিল না বিএসএফ।
শুক্রবার সকাল ৮টা ৪৪ মিনিটে তৃণমূলের তরফে একটি পোস্ট করে বিএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলা হয়, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, বিএসএফ জওয়ানরা সীমান্তবর্তী এলাকার ভোটারদের ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা করছে এবং নির্বাচন কমিশন মূক দর্শকের ভূমিকায়। এ বার আমাদের কাছে প্রমাণও আছে যে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিয়ন্ত্রিত বিএসএফ বালুরঘাটের বাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০২ নম্বর বুথে ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে এবং হেনস্থা করছে। নির্বাচন কমিশন এ বার তো পদক্ষেপ করুন!’’
তৃণমূলের এই অভিযোগের জবাব লিখিত ভাবে দিয়েছে বিএসএফ। প্রেস বিবৃতিতে তারা লিখেছে, ‘‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিএসএফের বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ করা হয়েছিল। দাবি করা হয়েছিল যে, বালুরঘাট লোকসভার বাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০২ নম্বর বুথে বিএসএফ ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে এবং ভোটারদের হেনস্থা করারও প্রমাণ রয়েছে। সকলের অবগতির জন্য জানাই যে, বালুরঘাট লোকসভার অধীন বাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের ২০২ নম্বর বুথে বিএসএফ মোতায়েন ছিল না।’’
বিএসএফের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, ভারতের নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত দায়িত্ব কঠোর ভাবে অনুসরণ করে বিএসএফ জওয়ানরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বিএসএফ দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও সেই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।