মনোনয়ন জমা দিলেন বাইরনের মামাতো ভাই আসাদুল বিশ্বাস (বাঁ দিকে)। — নিজস্ব চিত্র।
প্রায় ২০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে মনোনয়ন জমা দিলেন সাগরদিঘির তৃণমূল বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের মামাতো ভাই আসাদুল বিশ্বাস। জঙ্গিপুর আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে লোকসভা ভোটে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। প্রতীক হিসাবে পেয়েছেন ‘ব্যাট’। তার পরেই ‘বড় খেলার’ ইঙ্গিত দিলেন আসাদুল। দাবি করলেন, তিনি প্রার্থী হলেও ভোট হবে বিধায়ক বাইরনের বাবা বাবর আলি বিশ্বাসের নামে। স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে তৃণমূল। আরও এক বার প্রকাশ্যে এল জঙ্গিপুরে তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
বৃহস্পতিবার বহরমপুরে প্রশাসনিক ভবনে এসে মনোনয়নপত্র জমা দেন আসাদুল। তার পরেই তিনি বলেন, ‘‘বাইরন বিধায়ক হলেও ওঁর বাবা এক জন সমাজসেবী। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। জঙ্গিপুরের লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁকে চেনেন। সেই ভালবাসা থেকে তিনি আমাকে নির্বাচনী ময়দানে লড়াই করার জন্য প্রার্থী করেছেন।’’ তাঁর আরও দাবি, বাবরকে দেখেই সাধারণ মানুষ তাঁকে ভোট দেবেন।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ে জিতে পরে তৃণমূলে যোগ দেন বাইরন। জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে সাগরদিঘি। লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের সঙ্গে বাইরনের ‘ঠান্ডা লড়াই’ প্রকাশ্যে এসেছে। সেই আবহে বাইরনের তুতো ভাই আসাদুলও লোকসভা ভোটে নির্দল হিসাবে লড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আসাদুলকে সমর্থন করার কথা ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছিলেন বাইরনের বাবা বাবর। বৃহস্পতিবার সেই আসাদুল জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্দল হিসাবে মনোনয়নও পেশ করলেন। তাতেই তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও এক বার প্রকাশ্যে এল।
তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা সহ–সভাপতি বিকাশ নন্দ বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদ জেলার বিড়ি ব্যবসায়ীদের মধ্যে আয়কর প্রদানে জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান এক নম্বরে রয়েছেন। আর খলিলুর উন্নয়ন করেছেন কি না, তার জবাব জঙ্গিপুরের মানুষ ইভিএমে দিয়ে দেবেন।’’ বাবর বলেন, ‘‘যা বলার প্রার্থীই বলবেন, এখনও যথেষ্ট সময় রয়েছে আমার বলার।’’