(বাঁ দিকে) বাইরন বিশ্বাস এবং ইশা খান চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
দল বদল করলেও সৌজন্যের সম্পর্ক রয়েছে পুরনো দলের সঙ্গে। অন্তত ভোটপ্রচারে তো সেই ছবিই দেখা গেল। বুধবার মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী হাজির হলেন সাগরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের ধুলিয়ানের বাড়িতে। যদিও বাইরন তখন বাড়িতে ছিলেন না। মিনিট দশেক বাড়ির অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেস প্রার্থী। ইশার সঙ্গে কিছু ক্ষণ কথা বলতে দেখা গিয়েছে বাইরনের মামাতো ভাই আসাদুল বিশ্বাসকে। যা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। কংগ্রেস প্রার্থী ইশা অবশ্য একে ‘সৌজন্য সাক্ষাৎ’ বলেছেন। অন্য দিকে তৃণমূল বিষয়টিকে গুরুত্বই দিতে চাইছে না।
সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ে জিতে পরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাইরন। জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে সাগরদিঘি। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গিপুরের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের সঙ্গে বাইরনের ‘ঠান্ডা লড়াই’ প্রকাশ্যে এসেছে। সেই আবহে বাইরনের তুতো ভাই আসাদুলও লোকসভা ভোটে নির্দল হিসাবে লড়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বাইরনের পরিবার সূত্রে খবর, আসাদুলকে সর্বত ভাবে সমর্থন করবেন বাইরনের পিতা বাবর আলি বিশ্বাস। যাঁর সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। এই পরিস্থিতিতে ভোটপ্রচারে বেরোনো ইশার বাইরনের বাড়িতে যাওয়া নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ফরাক্কা এবং শমসেরগঞ্জ বিধানসভা আসন দু’টি মুর্শিদাবাদ জেলার অন্তর্ভুক্ত।
বাইরনের নিজের ভাই মিল্টন বিশ্বাস অবশ্য বলছেন, ‘‘কংগ্রেস প্রার্থী আমাদের বাড়িতে পাঁচ-সাত মিনিট ছিলেন। কোনও রাজনৈতিক কথা হয়নি।’’ এই সাক্ষাৎ নিয়ে খলিলুর বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশের রাজনৈতিক সৌজন্য থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। একজন প্রার্থী যে কোনও মানুষের বাড়িতে প্রচারে যেতে পারেন। এতে অস্বাভাবিকের কী আছে!’’