বোমা উদ্ধার মুর্শিদাবাদে। —নিজস্ব চিত্র।
ভোটগণনার আগে রাজ্যের জায়গায় জায়গায় বোমা উদ্ধার। মুর্শিদাবাদের রানিনগরে রবির পর সোমবারেও তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। প্লাস্টিকের বস্তা ভর্তি বালতিতে ২৫টি বোমা মিলেছে বীরভূমের দুবরাজপুরে। এর জেরেই সাধারণ মানুষের মনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, মঙ্গলবার ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর সন্ত্রাস ছড়াবে না তো এলাকায়?
গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলঘোষণার পর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসা-পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। খুন হয়েছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকেরা। বাড়িছাড়া হয়েছিলেন অনেকে। লোকসভা ভোটের পরেও তেমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বঙ্গে, এই আশঙ্কা করেই আগামী ১৯ জুন পর্যন্ত ৪০০ কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। তা সত্ত্বেও অশান্তি ছড়ালে, তা কতটা রোখা যাবে, এই নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অনেকের মনে। সংশয় জোরালো হয়েছে গণনার ঠিক আগে বোমা উদ্ধারে।
সোমবার মুর্শিদাবাদের রানিনগর এলাকার একটি পাটক্ষেতে প্লাস্টিকের বালতি থেকে বস্তা ভর্তি প্রচুর সকেট বোমা উদ্ধার হয়। রানিনগর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে। নিষ্ক্রিয় করার জন্য খবর দেওয়া হয় বম্ব স্কোয়াডে। এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটগণনার আগে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন বাম-কংগ্রেস কর্মীরা। জোট কর্মীদের বিরুদ্ধে পাল্টা একই অভিযোগ করেছে শাসকদলও।
মুর্শিদাবাদের সিপিএম নেতা সন্দীপন দাস বলেন, ‘‘ভোটগণনার আগে এলাকার শান্ত পরিস্থিতি অশান্ত করতে, স্থানীয় ও সাধারণ মানুষদের মনে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে বোমা মজুত করেছে তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী।’’ পাল্টা রানিনগরের তৃণমূল নেতা সৌমিক হোসেন বলেন, ‘‘ভোটের আগে থেকেই দুষ্কৃতীরা বাম-কংগ্রেস জোটের আশ্রয়ে আছে। তারাই এই বোমা মজুত করছে।’’