ঘাটালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির দেওয়াল লিখন। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের বড় ভরসার জায়গা হল মহিলা ভোট। লোকসভা ভোটের আগে এবার সেই ভোট ব্যাঙ্কেই হাত দিতে চাইছে বিজেপি। রাজ্যে এসে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। রাজ্যে প্রথম ভোট প্রচারে এসেই সন্দেশখালির কথা বারবার উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। আজ, বুধবার বারাসতে মূলত মহিলাদের নিয়ে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে বিপুল সংখ্যক জমায়েত করতে চাইছে পদ্ম শিবির। ঘাটাল-দাসপুর সহ মহকুমার একাধিক এলাকা থেকেও বিজেপির মহিলা কর্মী-সমর্থকরা সেই সভায় যাবেন। তার জন্য ভাড়া করা হয়েছে বাসও। বিজেপির মহিলা মোর্চার দাবি, লক্ষ্মীর ভান্ডারের অনেক উপভোক্তাও মোদীর বারাসতের সভায় যাবেন।
গত বিধানসভা-সহ পরপর কয়েকটি ভোটে মহিলা ভোটের সুফল পেয়েছে তৃণমূল। সম্প্রতি ফের লক্ষ্মীর ভান্ডারে টাকা বাড়ানো হয়েছে। এই আবহে পাল্টা মহিলা ভোটকেই পাখির চোখ করেছে বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির ঘরোয়া প্রচার থেকে জনসভা— সব জায়গাতেই তোলা হচ্ছে সন্দেশখালির প্রসঙ্গ। বলা হচ্ছে মহিলাদের নানা সমস্যার কথা। সম্প্রতি বাংলায় এসে পর পর দুটি জনসভাতে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতার বেশিরভাগ অংশই ব্যয় করেছেন মহিলাদের নিয়ে। ঘাটালে দলীয় প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম প্রচারে এসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সন্দেশখালির ঘটনা তুলে ধরেছেন।
লোকসভা ভোটের আগে আজ, বুধবার বারাসতে বিজেপির মহিলাদের ডাকে নারী শক্তি বন্দনা ডাক দেওয়া হয়েছে। সেখানে মূল বক্তা হিসাবে হাজির থাকার কথা মোদীর। ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলছেন, “বারাসতে যাওয়ার জন্য মহিলারা উৎসাহিত।” বিজেপি সূত্রে খবর, ঘাটাল থেকে তিনশো মহিলা নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভাড়া করা হয়েছে বাস। বিধায়ক পিছু তিনশো জন করে মহিলাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজেপির রাজ্য দফতর থেকে বলা হয়েছে বলে খবর। দাসপুর ও চন্দ্রকোনা এলাকার বিভিন্ন ব্লক থেকেও মহিলারা যাবেন। বিজেপির ঘাটাল সাংগাঠনিক জেলার সহ সভাপতি তপন দত্ত বলেন, “দাসপুরের দুটি ব্লক থেকেও মহিলা যাচ্ছেন। চন্দ্রকোনা, ক্ষীরপাই থেকেও যাবেন।” বিজেপির মহিলা মোর্চার আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সহ সভানেত্রী ক্ষীরপাই ব্লকের রাণু ঘোষ বলেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভান্ডার পাচ্ছেন, এমন অনেকেই বারাসতের সভায় যাবেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার সরকারি প্রকল্প। তার সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।’’ তৃণমূল অবশ্য বিজেপির এই কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। দলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুতাইত বলেন, “বড় বড় কথা বলে মানুষের মন পাওয়া যায় না। সেটা একুশ সালেই টের পেয়েছিল বিজেপি। এবারও উচিত শিক্ষা পাবে।”