ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের একটি সংগঠনের সম্মেলনে দেব। মঙ্গলবার। কেশপুরে। —নিজস্ব চিত্র।
ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের একটি সংগঠনের সম্মেলন। সেই সম্মেলনে উপস্থিত হলেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দীপক অধিকারী ওরফে দেব। মঙ্গলবার কেশপুরে একটি অতিথিশালায় এই সম্মেলন হয়েছে।
ভোটের মুখে ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের এই সম্মেলনে দেবের উপস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির অনুযোগ, এর পিছনে রয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই। তাদের খোঁচা, তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে যে ধস নামছে, সেটা তৃণমূলের তারকা প্রার্থীও বুঝতে পারছেন। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, একটি সংগঠনের সম্মেলন ছিল। ওই সংগঠন তাদের সম্মেলনে দেবকে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এখানে রাজনীতি কোথায়, প্রশ্ন তৃণমূলের।
দেবের পাশাপাশি কেশপুরে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা মাইতি, মন্ত্রী তথা কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা, জেলা পরিষদের তৃণমূল দলনেতা মহম্মদ রফিক, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি প্রদ্যোত পাঁজা প্রমুখ। কেশপুরে তৃণমূলের লড়াইটা এ বার খুব সহজ নয়। পরিস্থিতি বুঝে এখানে বেশি সময়ও দিচ্ছেন দেব। কর্মী বৈঠক করছেন। কর্মিসভা করছেন। শুরুর দিকে এক কর্মী বৈঠকে তৃণমূলের তারকা প্রার্থীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘আমার অনুরোধ, নিজেদের মধ্যে লড়াই বন্ধ করুন। দল থাকলে আমরা সকলে থাকব।’’ সূত্রের খবর, সম্মেলনে বক্তৃতা করতে গিয়ে এ দিন রফিক জানিয়েছেন, ইমাম ও মোয়াজ্জিন, কেশপুরে যতজন আছেন, সকলেই দলকে সহযোগিতা করেন। সে জন্যই একুশের নির্বাচনে শিউলিদি জিততে পেরেছিলেন। না হলে জেতা সম্ভব হত না। সূত্রের খবর, পাশে বসে রফিকের বক্তব্যে সায় দিয়েছেন শিউলিও। সম্মেলনে রফিক নিজের বক্তব্যের সমর্থনে গত বিধানসভা নির্বাচনে কেশপুর সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছেন। ঘোষণা করেছেন, শিউলি বিধানসভায় কেশপুর থেকে ২২ হাজার ‘লিড’ পেলেও এ বার দেব এখান থেকে লক্ষাধিক ভোটে এগিয়ে থাকবেন।
সম্মেলনে দেবের উপস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোরও। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষ বলেন, ‘‘ধারাবাহিক ভাবে সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। ওটা ওদের প্রার্থীও নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন! তাই ভোটের আগে ওই সম্মেলনে গিয়েছেন তিনি।’’ রফিকের অবশ্য প্রশ্ন, ‘‘এখানে রাজনীতি কোথায়? বিজেপি সবকিছুতেই ভোটের অঙ্ক দেখে। সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু সকলকেই ওরা (বিজেপি) শুধু ভোটের হিসেবে মাপে।’’