বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। —ফাইল ছবি।
ভোজপুরি তারকা পবন সিংহকে বিজেপি আসানসোলে প্রার্থী করার কথা জানানোর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে বাংলাকে অপমানের অভিযোগে সরব হয়েছিল তৃণমূল। প্রায় সেই পথে হেঁটেই বর্ধমান-দুর্গাপুরের তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদকে আক্রমণ করল বিজেপি। সে জন্য টেনে আনা হল কীর্তি আজাদের বাবা ভগবত ঝা আজাদ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময়কার একটি ঘটনা। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চাননি প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি। সোমবার বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে পড়ার ফাঁকে তাঁর পাল্টা দাবি, ভোটের মাঠে বিজেপিকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাবেন।
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালবীয় সমাজমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, কীর্তির বাবা ভগবত যখন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, সেই সময়ে ভগবতের ঘনিষ্ঠেরা ভাগলপুর থেকে এক বাঙালি মহিলাকে অপহরণ করেন। ভগবত তখন বাঙালিদের পাশে না থেকে অভিযুক্তদের সমর্থন করেছিলেন। এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, সেখানে বসবাসকারী বহু বাঙালি পরে ভাগলপুর ছাড়তে বাধ্য হন। সেই কীর্তিকে কী ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রার্থী করলেন, প্রশ্ন বিজেপির। কীর্তির প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই ধরনের মিথ্যা যাঁরা বলেন, তাঁদেরই লজ্জিত হওয়া উচিত। এ সব পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই।’’ এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছেন বলেও জানান তিনি।
এ দিন বর্ধমানে মন্দিরে পুজো দেওয়া তো বটেই, মাঠেও এক ঝলক দেখা যায় কীর্তিকে। ক্রিকেট লিগের খেলা হচ্ছে দেখে ব্যাট হাতে নেমে চারটি বলও খেলেন তিনি। তার মধ্যে দু’টি বাউন্ডারির বাইরে পাঠান। পরে বর্ধমানের টাউন হলে জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, কীর্তিকে প্রার্থী করার পরেই দলের কর্মীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, এর আগে এই কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়ার বিরুদ্ধে বার বার দেখা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ‘বহিরাগত’ প্রার্থী কীর্তির বিরুদ্ধেও সেই অভিযোগ উঠবে কি না, আশঙ্কায় তাঁরা। প্রচারে বেরিয়ে কীর্তি অবশ্য আশ্বাস দেন, ‘‘আমার নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়বে না।’’