মঞ্চ থেকে পঞ্চায়েত দখলের হুঁশিয়ারি বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখার। — নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটের পর বাঁকুড়ার ওন্দা বিধানসভা এলাকায় থাকা তৃণমূল পরিচালিত সব ক’টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করার হুঁশিয়ারি দিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি করলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা। বুধবার সন্ধ্যায় ওন্দার রতনপুরে দলীয় সভায় যোগ দিয়ে অমরনাথ শাখা বলেন, ‘‘২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন মেটার পর এবং ৪ জুন ফলাফল ঘোষণার পর আমরা এলাকার চোর তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলি দখল করে নেব। কারও ক্ষমতা নেই আটকায়।’’
কখনও ‘তৃণমূল নেতাদের গাছে বেঁধে পেটানোর’ নিদান, আবার কখনও ‘‘তৃণমূল নেতাদের ঝাঁটাপেটা করে তাড়ানোর’’ হুঁশিয়ারি— বিভিন্ন সময় বিতর্কে জড়িয়েছেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক তথা বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অমরনাথ। এ বার লোকসভা ভোটের মুখে পঞ্চায়েত দখলের হুঁশিয়ারি শোনা গেল তাঁর গলায়। মঞ্চে বিজেপির বিষ্ণুপুর লোকসভার প্রার্থী সৌমিত্র খাঁর উপস্থিতিতে বুধবার সন্ধ্যায় অমরনাথ শাখা বলেন, ‘‘২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল। এ বার লোকসভা ভোট মিটলেই ৪ জুন চোর তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি দখল করবই করব। কারও হিম্মৎ নেই আমাদের আটকায়।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘আসন সংখ্যার বিচারে ওন্দা বিধানসভার তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির ঘাড়ে বিজেপি নিশ্বাস ফেলছে। পঞ্চায়েতগুলি দখলের পর আমাদের কাজ হবে মোদীর পাঠানো জনহিতকর প্রকল্পগুলি এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।’’ কেন এমন কথা বলছেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অমরনাথ নিজেই। এর পরেই তিনি বলে ওঠেন, ‘‘এই মন্তব্য কিন্তু উস্কানিমূলক নয়। ৪ জুনের পর তৃণমূলের কার্যালয়ে তালা খোলার লোক পাওয়া যাবে না। তখন আমাদেরই তো গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি চালাতে হবে। তাই এই কথা বলেছি।’’
মঞ্চ থেকে অমরনাথের এই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল। বিষ্ণুপুর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বলেন, ‘‘ওই বিধায়কের শিক্ষাগত যোগ্যতা অত্যন্ত কম। তাই তিনি এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। আসলে ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই বিজেপি বুঝতে পারছে হার নিশ্চিত। তাই বিজেপির অন্দরে হতাশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই হতাশার কারণেই এই ধরনের বক্তব্য বিজেপি নেতাদের।’’