Lok Sabha Election 2024

তৃণমূল নয়, পদ্মের মূল প্রতিপক্ষের পরিচয় জানিয়ে নিয়ন্ত্রণের আর্জি শুভেন্দুর, চিঠি পুলিশ পর্যবেক্ষককে

প্রথম দফার ভোট হতে এখনও বাকি দিন দশেক। তার আগে রাজ্য রাজনীতি উত্তপ্ত। তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে অস্ত্র বানিয়েছে বিজেপি। অন্য দিকে, বিজেপিও পাল্টা অভিযোগ তুলেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৫৭
Share:

শুভেন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র।

লোকসভা ভোটের আগে একাধিক ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। লড়াইটা মূলত তৃণমূল বনাম কংগ্রেস। সেই লড়াইয়ে নতুন মাত্রা যোগ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বনাম রাজ্য পুলিশ। দুই দল দুই নিরাপত্তা বাহিনীকে অস্ত্র করছে। তৃণমূল যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করছে তেমনই রাজ্য পুলিশ নিয়ে অনেক অভিযোগ বিজেপির। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মনে করেন, বাংলার ভোটে তাঁদের প্রধান প্রতিপক্ষ রাজ্য পুলিশ। তাই সোমবার তিনি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে আর্জি জানালেন নির্বাচন কমিশন নিযুক্ত রাজ্যের পুলিশ পর্যবেক্ষকের কাছে।

Advertisement

সোমবার দলের আরও দুই নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এবং শিশির বাজোরিয়াকে নিয়ে কলকাতার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর অফিসার্স ইনস্টিটিউটে যান শুভেন্দু। সেখানে রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক অনিল শর্মার সঙ্গে দেখা করেন। সেখানেই শুভেন্দু উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের উপরে নিয়ন্ত্রণের আর্জি জানান। সাক্ষাতের পরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘২০২১ সালের ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই ৬১টি এফআইআর করেছে। ১৫টি রাজ্যে ভোট হয়েছে, বাংলার মতো কোথাও হিংসা হয়নি। পঞ্চায়েত ভোটে আদালতের নির্দেশে ৮২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। কিন্তু বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। ৫৫ জন খুন হয়েছেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে। বহু পঞ্চায়েতে ভোটই দিতে পারেননি ভোটাররা।’’ এর পরে শাসকদলকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘তৃণমূল দুর্নীতি ছাড়া কিছু করেনি। তাই আমরা চাই প্রশাসন অবাধ শান্তিপূর্ণ ভোটের ব্যবস্থা করুক। বাংলার ভোটে পুলিশই প্রধান প্রতিপক্ষ।’’

কেন্দ্রীয় সংস্থার কর্তাদের উপরে হামলা নিয়েও সরব হয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘এর আগে সন্দেশখালিতে ইডি আক্রান্ত হয়েছে, আদালত হস্তক্ষেপ করেছে। এনআইএর উপর হামলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ করুক।’’ একই সঙ্গে তিনি চান নির্বাচন পর্ব মেটার পরেও বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকুক। তিনি বলেন, ‘‘ভোট শেষের পরের তিন মাস রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার আর্জি জানানো হয়েছে।’’ তিনি দাবি করেন, ১৩ হাজার বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে রাজ্য পুলিশ। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ‘‘পুলিশ সংযত না হলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement