সুকান্ত মজুমদার। —ফাইল চিত্র।
রাজ্য বিজেপির তরফে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পাঠানো শেষ। রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের কেন্দ্রীয় নেতারাও তা নিয়ে বৈঠক সেরে ফেলেছেন। এ বার শুধু দলের কেন্দ্রীয় সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক বসলেই বিজেপির বাকি আসনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পাবে বলে জানালেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দু’-এক দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদীয় বোর্ডকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন। তার পরেই রাজ্যের বাকি আসনগুলিতেও দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণার কথা জানিয়েছেন সুকান্ত।
মঙ্গলবার সুকান্ত দিল্লি থেকে সরাসরি বাগডোগরায় নামেন। সেখান থেকে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের বাড়িতে যান। রবিবার শঙ্করের মা মারা গিয়েছেন। পরে সুকান্ত বলেন, ‘‘আমাদের সমস্ত কিছু ঠিক হয়ে গিয়েছে। আশা করছি, ২২-২৩ তারিখ নাগাদ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ পাবে। মঞ্চে গিয়ে র্যাম্পে হেঁটে প্রার্থী ঘোষণার নিয়ম আমাদের পার্টিতে চলে না। পার্টিতে প্রথমে রাজ্যের শাখা বসে, রাজ্য শাখায় যে সব সর্ব ভারতীয় নেতা রাজ্যের দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা আলোচনায় বসেন। সব শেষে, একটা বড় পার্লামেন্টারি বোর্ড বসে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী থাকেন। আগামী দু’-এক দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পার্লামেন্টারি বোর্ডে বসবেন তার পরেই তালিকা বেরিয়ে যাবে।’’
সুকান্তের দাবি, এতে কোনও দেরি হচ্ছে না। গত লোকসভায় তিনি ভোট-প্রচারে এর থেকেও কম সময় পেয়েছিলেন। প্রচারের ক্ষেত্রে পরে নেমেও দলের প্রার্থীরা অন্য দলের প্রতিদ্বন্দ্বীদের টপকে যেতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং রায়গঞ্জ আসনে বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা হয়নি। দলের একাংশের বক্তব্য, প্রচারে বিজেপি অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে। এর জেরে, দলের অন্দরে ক্ষোভ বাড়ছে। দার্জিলিং আসনে সম্ভাব্য দুই প্রার্থীকে নিয়ে কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত জেলা বিজেপি। তাদের একটি অংশ বর্তমান সাংসদ রাজু বিস্তাকে প্রার্থী চেয়ে সরব হয়েছে। রাজু প্রার্থী না হলে, দার্জিলিঙের বিজেপির বিধায়ক নীরজ জিম্বা নির্দল হয়ে লড়াইয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর একটি গোষ্ঠী প্রাক্তন বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে প্রার্থী চেয়ে তাঁর বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছে। জলপাইগুড়ি, রায়গঞ্জ আসনেও প্রার্থিপদে একাধিক দাবিদার। এ দিন সুকান্ত দাবি করেন, ‘‘দাবিদার একাধিক হতে পারেন। দাবিদার হওয়ার মধ্যে তো খারাপ কিছু নেই। তবে দলের অন্দরে কোন্দল নেই।’’
সূত্রের খবর, রাজ্যের কমিটি দার্জিলিং আসনে রাজু বিস্তার নাম প্রার্থী হিসাবে কেন্দ্রের কাছে জানালেও, রাজ্যের দায়িত্বে থাকা দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশ শ্রিংলাকেই প্রার্থী চাইছেন। শেষ পর্যন্ত বিজেপির সংসদীয় বোর্ড কার নামে ‘সিলমোহর’ দেয়, সেটাই দেখার।