—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে গঙ্গা নদী। সামনেই গঙ্গার জলের তোড়ে ভেঙে যাওয়া বাঁধের অংশ। মালদহের মানিকচকের ভুতনির কেশরপুরে গঙ্গারপারে রবিবার সকাল থেকে সত্যাগ্রহে বসলেন দক্ষিণ মালদহের বিজেপির প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তাঁর দাবি, গঙ্গা ভাঙ্গনে বিপর্যস্ত ভুতনির মানুষের স্বার্থেই এই কর্মসূচি।
এ দিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ভাবেই রবিবাসরীয় প্রচার চালালেন শ্রীরূপা। যদিও বিজেপি প্রার্থীর এই কর্মসূচিকে ভোটের গিমিক ও নাটক বলে কটাক্ষ করেছেন ভুতনিতেই রবিবাসরীয় প্রচার করা দক্ষিণ মালদহের তৃণমূল প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রায়হান ও জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সী। এই আসনের কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী এ দিন ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম, মহদিপুর এবং যদুপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচার করেন। উত্তর মালদহের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দোপাধ্যায় এ দিন পুরাতন মালদহ ও হবিবপুরের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে কখনও হুড খোলা গাড়িতে চেপে, রোডশো, কোথাও বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করেন। উত্তর মালদহে বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু গাজলের পান্ডুয়া, রানিগঞ্জ ১ ও ২ এবং মাজরা পঞ্চায়েত এলাকায় কর্মী বৈঠকের মাধ্যমে প্রচার সারেন। কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম দলীয় ও বাম কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে প্রচার করেন গাজলের আলাল ও পাণ্ডুয়া, রতুয়ার চাঁদমণি ও সামসি ও হরিশ্চন্দ্রপুরের মশালদহে। মশালদহে ইফতারেও অংশ নেন তিনি।
মালদহে দুটি আসনে রবিবাসরীয় প্রচারের মধ্যে চমক ছিল ভুতনির কেশরপুরে গঙ্গাপারে বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর ‘সত্যাগ্রহ’। শ্রীরূপা বলেন, ‘‘দক্ষিণ মালদহে বিস্তীর্ণ অংশে গঙ্গা ভাঙন বড় সমস্যা। সমাজকর্মী হিসেবে এত দিন আমি সেই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছি। লোকসভায় জিতলে ভাঙন সমস্যার স্থায়ী সমাধানই হবে প্রথম লক্ষ্য।’’ ভুতনিরই উত্তর ও দক্ষিণ চণ্ডীপুর ও হীরানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রচারে তৃণমূল প্রার্থী শাহনওয়াজ আলি রায়হান বলেন, ‘‘গতবার এ আসনে লোকসভা ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। পাঁচ বছরে ভুতনির মানুষ তাকে আর এলাকায় দেখেননি। ভোট এসেছে, তাই গিমিক দিতে সত্যাগ্রহ কর্মসূচি নিয়েছেন তিনি।’’ আবদুর বলেন, ‘‘গঙ্গা ভাঙন একটি জাতীয় বিপর্যয়। কেন্দ্র ভাঙন প্রতিরোধে এক টাকাও খরচ করে না। ভাঙন ঠেকাতে যা খরচ করে তা রাজ্য সরকার। এখন বিজেপি প্রার্থী নাটক করছে।’’ বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌরচন্দ্র মণ্ডল পাল্টা বলেন, ‘‘ভাঙন ঠেকানোর কাজের নামে লুট হয়েছে।’’