দিলীপ ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
প্রচণ্ড গরম। এই অবস্থায় সভায় বসে বসে বক্তব্য শোনার মতো ধৈর্য কারও নেই বলে মনে করেন বর্ধমান-দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। কিন্তু তা বলে প্রচার কি বন্ধ থাকবে? প্রচারে অভিনবত্ব আনতে পথচলতি মানুষকে হাতপাখা বিলি করলেন দিলীপের অনুগামীরা। দিলীপকেও দেখা গেল ঘামতে ঘামতে হাতে প্লাস্টিকের হাতপাখা নাড়তে। পাখা হাতে তাঁর মন্তব্য, ‘‘টিএমসির হাওয়া ‘লু’। ও গরম হাওয়া খাবেন না। পদ্মফুলের গন্ধযুক্ত আমাদের পাখার মিষ্টি হাওয়া খান।’’
রবিবার সকালে প্রার্তভ্রমণে বেরিয়েছিলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ। ঘোষ। তার পর জিটি রোডের উপর একটি চায়ের দোকানে চা চক্রে মিলিত হন। সেখানেই দিলীপের সমর্থকেরা হাতপাখা বিলি করেন পথচলতি মানুষের মধ্যে। কিন্তু হঠাৎ প্রচারে পাখা বিলি কেন? দিলীপের জবাব, ‘‘দেখুন, আজকাল বক্তৃতা কেউ শোনেন না। সবাই সবাইকে জানেন। প্রচারে নতুনত্ব আনতে হবে। চায়ের কাগজের কাপে, গেঞ্জি, টুপির মাধ্যমেও প্রচার করা যায়। মানুষের প্রয়োজন আমরা বুঝি। চা খেতে হবে। চা চক্রে বসলে কাপে তাই ছবি দেওয়া থাকে।’’ পাখা বিলি নিয়ে দিলীপ আরও বলেন, ‘‘দারুণ গরম পড়েছে। রাস্তায়, গ্রামের মধ্যে দেখছি মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। তাই হাতপাখা বিলি করা হল।’’ পর ক্ষণেই দিলীপের সংযোজন, ‘‘পদ্মফুলের গন্ধযুক্ত আমাদের পাখার মিষ্টি হাওয়া খান।’’
বিলি করা হাতপাখায় রয়েছে দিলীপ ঘোষকে ভোট দেওয়ার আহ্বান। উপহার পেয়ে খুশি স্থানীয় বাসিন্দা প্রবীণ ঘোষের কথায়, ‘‘প্রকৃতির সঙ্গে রাজনৈতিক দাবদাহ চলছে এ রাজ্যে। সে জন্য আমরা দিলীপবাবুর দিকে তাকিয়ে আছি।’’
অন্য দিকে, এই প্রবল গরমে সুস্থ থাকার টিপস্ও দেন দিলীপ। সেখানেও ‘দেশি দাওয়াই’ দিলীপের। তিনি বলেন, ‘‘সুস্থ মানুষেরা একটু নিয়ম মেনে চললে অসুস্থ হবেন না। কিন্তু অসুস্থ, বয়স্করা বেশি রোদে না বেরোবেন না। আমাদের বেরোতে হচ্ছে। শুকনো গামছা, সুতির জামাকাপড় ব্যবহার করুন। এমনি ঠান্ডা জল খান। এটা-ওটা খাবার দরকার নেই। ডাবের জল, আমের শরবত, লেবুজল বা বেলের শরবত খান। আম ‘লু’ থেকে বাঁচাতে পারে। মাছ-মাংস-ডিম কম খান। সুস্থ শরীরকে ব্যস্ত করবেন না।’’
তবে দিলীপের পাখা নিয়ে দিলীপকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘তৃণমূল হাওয়াতে বিজেপি উড়ে যাবে। তাই আগেভাগে পাখার হাওয়া খাচ্ছে। ৪ মে দিলীপ ঘোষও এখানে থাকবেন না। ওই পাখাও থাকবে না।’’