(বাঁ দিক থেকে) বাম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ এবং সরস্বতী হালদার। —নিজস্ব চিত্র।
বাম প্রার্থীকে বাড়িতে আমন্ত্রণ করে খাইয়ে খুশিতে কেঁদে ফেললেন এক মহিলা। সিপিএম নেতৃত্ব বললেন, ‘‘এটাই বামেদের প্রতি মানুষের আস্থার উদাহরণ।’’ হুগলির জিরাটের ঘটনা।
রবিবার ভোটপ্রচারে বেরিয়েছিলেন হুগলির বাম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ। বলাগড়ের চাঁদরা থেকে খালপাড় মিলনগড় হয়ে দক্ষিণ মিলনগড় জিরাট হাটতলায় ভোটপ্রচার করেন মনোদীপ। দক্ষিণ মিলগড়ে যখন তিনি প্রচার করছেন, তখন এক বাম কর্মী সুনীল হালদারের বাড়ির লোকজন মনোদীপকে ডেকে তাঁদের বাড়িতে নিয়ে যান। সবার অনুরোধে সেখানেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন বাম প্রার্থী। মনোজিৎ তাঁর বাড়িতে খাওয়াদাওয়া করছেন, সেই আনন্দে কেঁদেই ফেললেন সুনীলের স্ত্রী সরস্বতী হালদার।
সুনীল চাষবাস করেন। বাঁশের বেড়া ঘেরা বাড়ি। পাটকাঠির বেড়া দিয়ে ঘেরা রান্নাঘর। সেখানেই রবিবার বামপ্রার্থীর জন্য ভাত, টক ডাল, আলু ভাজা আর ডিমের ডালনা রান্না করেন সুনীলের স্ত্রী। বাম প্রার্থী এবং তাঁর সঙ্গীদের পরিপাটি করে মাটির দাওয়ায় বসিয়ে ভাত বেড়ে খাওয়ালেন সরস্বতী। বাম প্রার্থীও তৃপ্তি করে খেয়েছেন। লোকসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী তাঁর বাড়িতে খেলেন, এই আনন্দে হাউ হাউ করে কেঁদে সরস্বতী বলেন, ‘‘আমি ভীষণ খুশি যে উনি আমার বাড়িতে খেলেন। এই দিনটা আমি ভুলব না।’’
দরিদ্র পরিবারের আপ্যায়নে খুশি বাম প্রার্থী মনোদীপও। তিনি জানান, যে বাড়িতে তিনি খাওয়াদাওয়া করলেন, সেই পরিবার প্রান্তিক। সব দিক থেকেই তারা বঞ্চিত। রান্নার গ্যাস নেই, আবাসের ঘর পাননি, ১০০ দিনের কাজ বন্ধ। তাই আর্থিক কষ্টের মধ্যে রয়েছে পুরো পরিবার। মনোদীপ বলেন, ‘‘সরকারি প্রকল্পের বিজ্ঞাপনে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়। অথচ, প্রকৃত উপভোক্তারা কিছু পায় না।’’
এক দিকে, বিজেপির বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। অন্য দিকে, তৃণমূল প্রার্থী করেছে অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার মধ্যে প্রচার কেমন চলছে? বাম প্রার্থী বলেন, ‘‘এই প্রচণ্ড গরমেও প্রচারে ভালই সাড়া মিলছে।’’