নন্দীগ্রামে তৃণমূলের পার্টি অফিসে বিজেপির পতাকা। — নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটের মুখে তৃণমূলকে রাজনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে নন্দীগ্রামে ঘাসফুলের দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিল বিজেপি। রবিবার নন্দীগ্রাম ২ ব্লকের বিরুলিয়ায় দলবল নিয়ে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের দখল নেন বিজেপি নেতৃত্ব। পার্টি অফিসের সামনে বিজেপির দলীয় পতাকা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি নেতৃত্বের হুমকি, এলাকায় তৃণমূল কোনও রকম কার্যকলাপ চালানোর চেষ্টা করলে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হবে।
দলবল নিয়ে বিজেপি নেতা-কর্মীরা প্রথমে বিরুলিয়ায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এর পর মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুলও পোড়ানো হয়। স্লোগান দেওয়ার পর বিজেপি নেতারা তৃণমূলের পার্টি অফিসে নিজেদের দলীয় পতাকা ঝুলিয়ে দেন। বিজেপির বিক্ষোভে নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রলয় পাল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপির জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ অরূপ জানা-সহ অন্যান্যরা।
প্রলয় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তাঁর জনসভা থেকে মেদিনীপুরকে গদ্দারের মাটি বলে উল্লেখ করেছেন। সেই মন্তব্যের প্রতিবাদেই বিরুলিয়ায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে তালা ঝোলানো হয়েছে। মেদিনীপুরের মাটি বিপ্লবের মাটি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সমাবেশে দাঁড়িয়ে বলেছেন মেদিনীপুর গদ্দারের মাটি। আসমুদ্রহিমাচল যেখানে মেদিনীপুরকে শ্রদ্ধা করে সেখানে আমাদের গদ্দার বলার ফল টের পাইয়ে দেব।” প্রলয়ের হুঙ্কার, ‘‘আজ পার্টি অফিসে তালা মেরেছি। সেই সঙ্গে ঘোষণা করছি, এই এলাকায় তৃণমূলের কোনও রকম রাজনৈতিক কাজকর্ম চলবে না। আমরা বিজেপির কার্যকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এখানে তালা লাগিয়ে দিয়ে গেলাম। ওদের যদি কোনও রকম রাজনৈতিক কাজকর্ম এখানে হয় তা হলে আমরা দেখিয়ে দেব গদ্দার কাকে বলে।” যে দিন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সমাবেশে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইবেন, সে দিন পার্টি অফিসের তালা খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।
ঘটনার খবর পেয়ে নন্দীগ্রামে ছুটে যান তমলুকের তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিরুলিয়ার দলীয় কার্যালয়ে পৌঁছন দেবাংশু। পার্টি অফিসটিকে ‘দখলমুক্ত’ করার পাশাপাশি বিজেপির দখলদারি ও গাজোয়ারি রাজনীতির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াইয়ের ডাক দেন তিনি।