জলপাইগুড়িতে বিজেপি নেতা-নেত্রীদের গাড়ি থেকে নগদ অর্থ উদ্ধার। —নিজস্ব চিত্র।
ভোটের আবহে জলপাইগুড়িতে উদ্ধার নগদ কয়েক লক্ষ টাকা। পুলিশ সূত্রে খবর, যাঁদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তাঁরা দু’জনেই বিজেপির নেতা-নেত্রী। রবিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালিয়েছে আয়কর হানা। সেই অভিযানে আয়কর দফতর কিছুই পায়নি বলে জানিয়ে গোটা ঘটনায় ‘চক্রান্তের’ অভিযোগ তুলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল। সেই সূত্রেই শনিবার রাতে জলপাইগুড়িতে বিজেপির নেতা-নেত্রীদের গাড়ি থেকে নগদ উদ্ধারের ঘটনার কথাও টেনে এনেছে। তৃণমূলের বক্তব্য, আগামী ৪ জুন (ভোটের ফলঘোষণা) বিজেপির বিসর্জন অবশ্যাম্ভাবী।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ক্রান্তি মসজিদের কাছে নাকাচেকিংয়ের সময় একটি গাড়িকে আটকানো হয়। তল্লাশি চালিয়ে ওই গাড়িটি থেকে ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। গাড়িটির মালিক রাকেশ নন্দী। তিনি মাল বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির কনভেনর। পুলিশের দাবি, গাড়ি থেকে যে নগদ উদ্ধার হয়েছে, তার কোনও সঠিক কাগজপত্র দেখাতে পারেননি রাকেশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি স্বীকার করেছেন যে, দলীয় কর্মসূচিতে খরচের জন্য জলপাইগুড়িতে বিজেপির মহিলা মোর্চার সভাপতি দীপা বণিকের কাছ থেকে ওই টাকা নিয়েছিলেন তিনি। পুলিশ আরও জানিয়েছে, দীপার গাড়ি থেকেও ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। সব মিলিয়ে উদ্ধার হওয়া ৯ লক্ষ ৫ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
এ বিষয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, ‘‘এ বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাইছি না। গোটা বিষয়টা জেনে তার পরেই আমরা মন্তব্য করব এবং গোটা বিষয়টাই তদন্তসাপেক্ষ।’’ পাল্টা জেলার এক তৃণমূল নেতা বলেন, ‘‘বিজেপি বাংলা-বিরোধী। এ ভাবে টাকা দিয়ে ভোট কেনা যায় না। এটা বিজেপির বোঝা উচিত। বিজেপির বিদায় নিশ্চিত।’’