নিজের জুতো খুলে পালিশ করছেন সুভাষ সরকার। —নিজস্ব চিত্র।
বিআর অম্বেডকরের জন্মদিবসের শোভাযাত্রায় জুতো পালিশ করলেন বাঁকুড়া লোকসভার বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার। আর তা নিয়ে কটাক্ষ শুরু করল তৃণমূল।
রবিবার বাঁকুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র মাচানতলায় নিজের হুডখোলা গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিলেন সুভাষ। বসেছিলেন চালকের পাশের আসনে। হঠাৎ আসন থেকে উঠে দাঁড়িয়ে জুতো পালিশ করতে শুরু করেন বিজেপির বিদায়ী সাংসদ সুভাষ।
মূলত সুভাষের উদ্যোগেই মাচানতলা এলাকা থেকে লালবাজার পর্যন্ত অম্বেডকরের জন্মদিন উপলক্ষে শোভাযাত্রা হয়। ওই শোভাযাত্রার একেবারে সামনে হুডখোলা গাড়িতে চেপে বাঁকুড়া বাজার পরিক্রমা করেন বিজেপির প্রার্থী। আচমকাই তাঁকে দেখা। যায় নিজের জুতো খুলে একটা ব্রাশ দিয়ে পালিশ করছেন। পেশায় চিকিৎসক এবং বিদায়ী কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এ ভাবে জুতো পালিশ করতে দেখে পথচলতি অনেকে বিস্মিত হন। তবে সুভাষের দাবি, ‘‘শোভাযাত্রায় জুতো পালিশের মধ্যে দিয়ে বাঁকুড়ার মানুষকে বিআর অম্বেডকরের জীবনের দর্শন বোঝাতে চেয়েছি।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘অম্বেডকর অত্যন্ত নিম্নশ্রেণির একটি পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন। অনেক লড়াই, অত্যাচারের মাঝে বড় হয়েও লক্ষ্য স্থির থাকায় তিনি সংবিধান রচনার মতো মহান গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। তাই মানুষ যে পেশা বা যে কাজই করুন না কেন, দক্ষতা থাকলে সব কাজেরই মর্যাদা সমান। দক্ষতা থাকলে যিনি জুতো পালিশ করেন তাঁর মর্যাদা যে কোনও ভাবে একজন চিকিৎসক বা আইনজীবীর তুলনায় কম নয়, জুতো পালিশের মধ্য দিয়ে আমি তাই বোঝাতে চেয়েছি।’’
যদিও তৃণমূল একে নিতান্তই ভোটপ্রচারের কৌশল বলে অভিযোগ করেছে। বাঁকুড়া লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর এই কাজ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সুভাষ সরকার জনগণকে ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন। আর এখন প্রকাশ্যে নিজের জুতো পালিশ করে নাটক করছেন। এ সব নাটক করে কিন্তু ভোট বাড়ে না। সবাই নিজের নিজের কাজ করেন। প্রচারের জন্য এ সব কাজের কোনও অর্থ নেই। উনি নিজের জুতোই পালিশ করেছেন। তা-ও জনগণের জুতো পালিশ করলে বলতাম, উনি অন্য পেশাকেও সম্মান করেন।’’