মাটিতে ফেলে মারা হচ্ছে তৃণমূল কর্মীকে। —নিজস্ব চিত্র
মিথ্যা মামলায় দলীয় কর্মীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ! এমনই অভিযোগ তুলে রবিবার সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। বিক্ষোভের নেতৃত্বে ছিলেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। অন্য দিকে, সন্দেশখালির তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর সামনেই এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ওই তৃণমূল কর্মীকে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়, জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়। আক্রান্তের বক্তব্য, তিনি তৃণমূল করেন, এটাই তাঁর অপরাধ। বিধায়কের অভিযোগ, বিজেপি প্রার্থী রেখা এই সব কাজ করাচ্ছেন।
সম্প্রতি জেলিয়াখালি এলাকায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে কয়েক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপির দাবি, মিথ্যা ছিনতাইয়ের মামলা রুজু করে বেছে বেছে তাদের কর্মীদেরই গ্রেফতার করা হচ্ছে। শনিবারই প্রকাশ্যে এসেছে সন্দেশখালির স্টিং ভিডিয়োর দ্বিতীয় পর্ব। এই ভিডিয়োতেও সন্দেশখালির স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালকে দেখা গিয়েছে। প্রথম ভিডিয়োতেই দেখা যায়, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের কাছে গঙ্গাধর নিজে স্বীকার করছেন, সন্দেশখালির আন্দোলন সাজানো। টাকার বিনিময়ে সেখানকার মহিলারা তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং অত্যাচারের ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে কোনও ভিডিয়োরই সত্যতা যাচাই করা হয়নি।
বিজেপির দাবি, টাকার বিনিময়ে সন্দেশখালি নিয়ে আরও ‘ভুয়ো ভিডিয়ো’ বানাচ্ছে তৃণমূল। পদ্মশিবিরের অভিযোগ, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা দিলীপ মল্লিক এক মহিলাকে তুলে নিয়ে গিয়ে টাকার বিনিময়ে বিজেপির বিরুদ্ধে ভিডিও বানিয়েছেন, যা কয়েক দিনের মধ্যেই আবার প্রকাশ্যে আসবে । বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করতেই তৃণমূল ষড়যন্ত্র করছে বলেও দাবি তোলা হয়েছে পদ্মশিবিরের তরফে। এই পরিস্থিতিতে দিলীপ-সহ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদেরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি তুলেছে বিজেপি।
রবিবার দুপুরে বিজেপি যখন সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তখন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার এবং শাসকদলের কয়েক জন নেতা-কর্মী দিলীপের বাড়িতে ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। হঠাৎই বিজেপির কিছু কর্মী-সমর্থক ওই বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ। দিলীপকেও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। দিলীপের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ওই তৃণমূল নেতা চক্রান্ত করছেন। এই প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “আজ যা হল, মানুষ দেখল। মানুষই এর জবাব দেবে। আর সন্দেশখালি নিয়ে কারা চক্রান্ত করেছে, তা তো স্টিং ভিডিয়োতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।”