তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু শতাব্দী রায়ের। — নিজস্ব চিত্র।
অনুব্রতহীন বীরভূমে আরও বেশি ভোটে জেতার দাবি করে প্রচারে নেমে পড়লেন শতাব্দী রায়। শনিবার সকালে রীতি মেনে তিনি তারাপীঠের মন্দিরে যান। সেখানে পুজো দেন। পুজো দিয়ে বেরিয়ে এসে বীরভূমের তারকা প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ সাংবাদিকদের জানান, ইতিহাস বলছে, প্রতি বারই জয়ের ব্যবধান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। শতাব্দী বলেন, ‘‘এ বারও তার ব্যতিক্রম হবে না।’’
বীরভূমে টানা চতুর্থ বার জয়ের চ্যালেঞ্জ নিয়ে শনিবার থেকে ভোটের ময়দানে নেমে পড়লেন শতাব্দী। ২০০৯ সালে যে ব্যবধানে তিনি জিতেছিলেন, ২০১৪-য় তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তেমনই ২০১৯ সালে দেশ জুড়ে মোদী হাওয়াও টোল খাওয়াতে পারেনি সেই ব্যবধানে। উল্টে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য সেই শতাব্দীতেই ভরসা রেখেছে তৃণমূল। শনিবার থেকে প্রচার আরম্ভ হল অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ শতাব্দীর। সকাল ১০টা নাগাদ ডেপুটি স্পিকার তথা এলাকার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে শতাব্দী পৌঁছন তারাপীঠ মন্দিরে। সেখানে পুজো দেন। তার পর বেরিয়ে এসে প্রার্থী জানান, ২০০৯ সাল থেকে তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন। এ বারও তেমনই করলেন। শতাব্দীর কাছে প্রশ্ন ছিল, অনুব্রতহীন বীরভূমে কি এ বার লড়াই কঠিন বলে মনে হচ্ছে? তার ঝটিতি জবাবে তারকা অভিনেত্রী বলেন, ‘‘অনুব্রত মণ্ডলের হাতে তৈরি সংগঠন আমার হয়ে কাজ করেছে। আজ তিনি অনুপস্থিত কিন্তু তাঁর গড়ে দেওয়া সংগঠনের লোকজন এখনও পাশে রয়েছেন। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে ভোটের আগে না পাওয়া গেলে তাঁকে মিস্ করা তো স্বাভাবিক! কিন্তু তাতে জয়ের ব্যবধানে পার্থক্য হবে বলে মনে হয় না। বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রে চতুর্থ বারের জন্য জয়ের বিষয়ে আমি ২০০ শতাংশ আশাবাদী।’’
তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত খয়রাশোল, মুরারই-সহ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকট। তার কতটা প্রভাব ভোটে পড়বে? এই প্রশ্নের জবাবে শতাব্দী বলেন, ‘‘যে দিন ভোটের ফলাফলের বাক্স খোলা হবে, সে দিন নিজের চোখেই দেখতে পাবেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও প্রভাব আদৌ আছে কি না।’’ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী হলেও রাজনৈতিক সৌজন্য প্রকাশেও কার্পণ্য করবেন না শতাব্দী। বীরভূমে তাঁর বিরুদ্ধে যাঁরা ভোটে লড়বেন, বিশেষ করে বিজেপি প্রার্থীর প্রতি আগাম শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন শতাব্দী।