Lok Sabha Election 2024

গুরুংয়ের মুখে আবার ভিন্ন রাজ্যের দাবি

২০১১ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি ডুয়ার্স এবং পাহাড়ের সীমারেখায় থাকা ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম শিপচুতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে থাকা গোর্খা জন মুক্তি মোর্চার কর্মীরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:১৮
Share:

শিপচু তে বলিদান দিবসের জনসমাবেশে যোগ বিমল গুরঙ্গের। সব্যসাচী ঘোষ।

পাহাড়ের পরে, ডুয়ার্স ঘিরেও আবার আলাদা রাজ্যের কথা বললেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুং।

Advertisement

লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে গত কয়েক দিন ধরেই গুরুং পাহাড়, তরাই এবং ডুয়ার্সে ঘুরছেন। আদতে নিজের দলের ঝিমিয়ে পড়া বা দুর্বল সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টায় গুরুং ময়দানে নেমেছেন, তা তাঁর দলের নেতা-নেত্রীরাও স্বীকার করেন।

বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের শিপচুতে এসেছিলেন গুরুং। ২০১১ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি ডুয়ার্স এবং পাহাড়ের সীমারেখায় থাকা ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম শিপচুতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে থাকা গোর্খা জন মুক্তি মোর্চার কর্মীরা। গুলিতে তিন জন মোর্চা-সমর্থক মারা গিয়েছিলেন। একাধিক পুলিশকর্মীও জখম হন। পৃথক রাজ্যের দাবিতে সে দিনের আন্দোলনের পরে ১৩ বছর কেটে গিয়েছে। এ দিন দুপুরে শিপচুর বলিদান পার্কের ভিতরে সমাবেশে যোগ দেন বিমল গুরুং, রোশন গিরি, লোপসাম তামাংদের মতো নেতারা। সেখানে বিমল আলাদা রাজ্যের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে তিনি
সরবেন না, তা-ও স্পষ্ট করেন। সমাবেশের ভাষণে পৃথক রাজ্যের আন্দোলনে যারা নেই, সে সব দলকে কাঠগড়ায় তোলেন গুরুং। পাহাড়ের শাসক দল অনীত থাপার প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার মতো দলগুলি থেকে পাহাড়বাসীর আর কিছুই পাওয়ার নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন। যদিও গুরুংয়ের কথার ‘গুরুত্ব নেই’ বলে দাবি করেছেন প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অমর লামা।

Advertisement

পাহাড়ের শাসক দলের নেতাদের একাংশের ধারণা, লোকসভাকে সামনে রেখে কী ভাবে পাহাড়ে রাজনীতিতে গুরুং ‘প্রাসঙ্গিক’ হবেন, তা ঠিক করতে ময়দানে নেমেছেন। যদিও তার সম্ভাবনা খুবই কম। গত বিধানসভার পর থেকে পর-পর ভোটে পাহাড়ে গুরুংয়ের দল কোনও দাগ কাটতেই পারেনি। গুরুং অবশ্য বলেন, ‘‘আমাদের ১৮ দলের একটি যৌথ মঞ্চ রয়েছে। সেখানে নানা আলোচনা হচ্ছে। আবারও হবে। লোকসভায় কী করা হবে, তা দল ঘোষণা করবে।’’

এ দিন শিপচুতে শ্রদ্ধা জানাতে পৃথক ভাবে উপস্থিত হন প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাং। বিনয়, বিমল সাক্ষাৎও হয়। পরে, বিমল গুরুং বলেন, ‘‘বিনয় অল্প সময়ে ভুল পথে গিয়ে পরে তা শুধরে নিয়েছেন। আগামী দিনে উনি আমাদের সঙ্গে থাকলে, তা খুব ভালই হবে।’’ যদিও বিনয় এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement