— প্রতীকী ছবি।
প্রার্থী পছন্দ না হলে ভোটারদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে ইভিএমে। চাইলেই কেউ ‘নোটা’ বোতাম টিপে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এ বারের ভোটেও নোটায় ভোট পড়ার সংখ্যা নেহাত কম নয়। কমিশন সূত্রে খবর, এক শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে নোটায়। বিহারে সবচেয়ে বেশি।
উল্লেখ্য, ভোটদাতা কোনও প্রার্থীর প্রতিই আস্থা রাখতে না পারলেও যাতে নিজের মত জানাতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে ইভিএমে নোটা (নান অফ দ্য অ্যাবভ বা উপরের কেউই নয়) বোতাম রাখার সূচনা হয়েছিল। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর ইভিএমে সকল প্রার্থীর নাম এবং প্রতীক চিহ্নের শেষে নোটার বোতাম রাখা বাধ্যতামূলক করে কমিশন।
তার পর থেকে দেশের যে কোনও নির্বাচনে নোটা বিকল্প থাকে। কমিশন সূত্রে খবর, গোটা দেশের মধ্যে বিহারেই সবচেয়ে বেশি নোটায় ভোট পড়েছে। ২.০৭ শতাংশ ভোট নোটায় গিয়েছে এই রাজ্যে। বিহারের ৪০টি লোকসভা আসনের মধ্যে, এনডিএ জিতছে ৩০টি আসন। বিজেপি এবং জেডিইউ ১২টি করে আসন জিতেছে। এজেপিআর পাঁচ এবং ‘হাম’ একটিতে। অন্য দিকে, বিরোধী জোটের শরিক আরজেডি চার, কংগ্রেস তিন এবং সিপিআইএমএল লিবারেশন দু’টি লোকসভা আসন পেয়েছে। পূর্ণিয়ায় জয় পেলেন সদ্যপ্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা ‘বাহুবলী’ নির্দল প্রার্থী পাপ্পু যাদব।
তার পরেই রয়েছে মধ্যপ্রদেশ (১.৪১ শতাংশ)। জানা গিয়েছে, মধ্যপ্রদেশরে ইনদওর লোকসভা কেন্দ্রেই নোটায় ভোট পড়েছে দু’লাখ ১৮ হাজার ৬৭৪টি। কেন এত ভোট নোটায় পড়ল এই কেন্দ্রে? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, কংগ্রেস প্রার্থী অক্ষয় কান্তি গত ২৯ এপ্রিল বিজেপি যোগ দেন। ফলে বিজেপি বিরোধী অনেক ভোটই নোটায় গিয়েছে।
তামিলনাড়ুতে নোটায় ভোট পড়েছে ১.০৬ শতাংশ। এই রাজ্যে এ বার ভাল ফলের আশা করেছিল বিজেপি। ভোটপ্রচারে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা বার বার ওই রাজ্যে গিয়েছেন। তামিল আবেগ উস্কে দিয়েও লাভ হয়নি। তামিলভূমে বিজেপির ঝুলিতে আসন সংখ্যা শূন্য। ওড়িশায় নোটাতে ভোট পড়েছে ১.৩ শতাংশ।