চুঁচুড়ার বাসিন্দা স্বাতী নন্দী ও মেয়ে শুভাঙ্গী। নিজস্ব চিত্র।
ভোট কাকে দেবেন?
এ প্রশ্নে সচরাচর মুখ খুলতে চান না অনেকেই। চুঁচুড়ার রথতলার স্বাতী নন্দী অবশ্য রবিবারই জানিয়ে দিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই।
১২ বছর আগের কথা। রচনা সঞ্চালিত একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের রিয়্যালিটি শো-এ ‘অডিশন’ দিয়ে বড়দের বিভাগে প্রতিযোগিতার সুযোগ পেয়েছিলেন স্বাতী। দর্শকাসনে বসা মেয়ে শুভাঙ্গী ‘দিদি’র নজর টানে। ফলে, পাঁচ বছরের মেয়েটিকে আর ‘অডিশন’ দিতে হয়নি। সরাসরি ছোটদের বিভাগে প্রতিযোগিতার সুযোগ পেয়েছিল সে। ওই শোয়ের চতুর্থ সংস্করণে চুঁচুড়ার স্বাতী ও তাঁর মেয়ে নিজ নিজ বিভাগে
চ্যাম্পিয়ন হন।
রবিবার দুপুরে তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে হুগলি কেন্দ্র থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হতেই উচ্ছ্বসিত সরকারি কর্মী স্বাতী ও সপ্তদশী শুভাঙ্গী। ছুটির দিন থাকায় স্বাতীর স্বামী, পেশায় একটি বেসরকারি বিমা সংস্থার কর্মী সুজয় ঘরেই ছিলেন। তিনিও মেতে ওঠেন।
স্থানীয়েরা জানান, ওই পরিবারটি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। কিন্তু রচনার তৃণমূলের টিকিট মেলায় তাঁরা খুশি। স্বাতী বলেন, ‘‘দিদিকে (রচনা) সামনে থেকে দেখেছি। খুব ভাল মানুষ। উনি যে দলেই দাঁড়ান, আমরা ওঁকেই সমর্থন করব।’’
মা-মেয়ে দু’জনে ওই শোয়ের শংসাপত্র, স্মারক বার করে রাখেন। প্রতিবেশীরাও ওই বাড়িতে উপস্থিত হন। মা-মেয়ে দু'জনেই ‘রচনাদি, ‘রচনাদি’ বলে গলা ফাটাতে থাকেন। স্বাতী বলেন, ‘‘দিদির আমাদের মনে আছে কি না, জানি না। তবে, এ পাড়ায় প্রচারে এলেই, বাড়িতে স্বাগত জানাব। ট্রফি দেখাব। তা হলেই মনে পড়ে যাবে।’’
দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী শুভাঙ্গী বলে, ‘‘১২ বছর আগে আমি অনেক ছোট। তবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম মনে আছে। দিদিকেও (রচনা) মনে আছে।’’ তবে তার আক্ষেপ, ‘‘ভোটে নাম ওঠেনি। তাই রচনাদি একটি ভোট
কম পাবেন।’’