ব্যারাকপুরে সিপিএম প্রার্থী অভিনেতা দেবদূত ঘোষ। — ফাইল চিত্র।
ব্যারাকপুর লোকসভা আসনে বামফ্রন্টের প্রার্থী হিসাবে দেবদূত ঘোষের নাম ঘোষিত হওয়ার সময় তিনি ব্যস্ত ছিলেন শুটিংয়ে। কাজের মাঝেই পেলেন নিজের প্রার্থী হওয়ার খবর, হাতে তখন শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের কবিতার বই। প্রথম প্রতিক্রিয়ায় সিপিএমের এই অভিনেতা-প্রার্থী আওড়ালেন শক্তির কবিতা। পাশাপাশি, অঙ্গীকার করলেন মানুষের পাশে থাকার।
শুক্রবার দুপুরে বামফ্রন্টের আরও পাঁচ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন চেয়ারম্যান বিমান বসু। সেই তালিকায় রয়েছে দেবদূতের নাম। ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের পার্থ ভৌমিক এবং বিজেপির অর্জুন সিংহের টক্কর নেবেন তিনি। লড়াই কঠিন, আরও কঠিন ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বামেদের প্রাসঙ্গিকতা ফেরানো। যদিও শুটিংয়ের অবসরে দেবদূতের দাবি, স্বচ্ছ ভোট হলে তাঁর জয় নিশ্চিত। এখানেই থামলেন না টালিগঞ্জ আসন থেকে বিধানসভা ভোটে লড়াই করা দেবদূত। জানিয়ে দিলেন, স্বচ্ছ ভোট হলে গোটা রাজ্য থেকেই বাম প্রতিনিধিরা লোকসভায় যাবেন। শনিবার থেকেই পুরোদমে প্রচারে নেমে পড়বেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী।
ব্যারাকপুর আসনে কে প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে সিপিএমের অন্দরেই কোলাহল চলছিল। সূত্রের খবর, উত্তর ২৪ পরগনায় সিপিএমের একাধিক গোষ্ঠীর তরফ থেকে একাধিক নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। একটি গোষ্ঠীর দাবি ছিল, সেখানে শ্রমিক নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করতে হবে। কিন্তু তাতে আপত্তি ছিল অপর গোষ্ঠীর। একটি গোষ্ঠী চেয়েছিল, ব্যারাকপুরে প্রার্থী করা হোক তরুণ কোনও মুখকে। সিপিএমের অন্দরের একটি সূত্রের দাবি, সেই অনুযায়ী, যুব নেতা শতরূপ ঘোষের কাছে প্রস্তাবও গিয়েছিল। কিন্তু ওই যুব নেতা প্রস্তাবে সম্মতি দেননি। তার পরেই দেবদূতকে আসরে নামানো হয়। কিন্তু ব্যারাকপুরে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছে কঠিন লড়াই। তিনি কি পারবেন পার্থ, অর্জুনদের কড়া টক্করের মুখে ফেলে ব্যারাকপুরে আবার লাল ঝান্ডা ওড়াতে? নাম না করে দেবদূত কটাক্ষ করছেন অর্জুনকে। বলছেন, ‘‘দলবদলের ব্যাপারটা আমরা বামপন্থীরা ভাল বলতে পারব না। এটা তো আমাদের দলের রেওয়াজ নয়। ভোটের পরে তিনি আবার কোন দলে যাবেন, তার তো কোনও ঠিক নেই। তাই মানুষকে বলব, আপনাদের দুঃখ, কষ্টের কথা সংসদে পৌঁছে দিতে বামপন্থীদের কোনও বিকল্প নেই। আর এটা নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েই বুঝতে পারছেন মানুষ।’’