(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
সব কিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলে আগামী শনিবার কিংবা রবিবার তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। পড়শি দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে ফোন করে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মোদী নিজেই। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এবং এএনআই এনডিএ সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্পকমল দহাল প্রচণ্ড এবং মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবীন্দ জুগনথ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন। পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, বুধবার মোদী শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টকে ফোন করে আমন্ত্রণ জানান। খবরের সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সচিবালয়ের তরফে জানানো হয়, মোদী নিজে ফোন করে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য বিক্রমসিঙ্ঘেকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এএনআই-এর খবর অনুযায়ী, বুধবার হাসিনাকেও ফোন করেন মোদী। অন্য রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে হাসিনাই প্রথম মোদীকে তৃতীয় বার জয়ের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে আমন্ত্রণ পৌঁছবে। তবে মোদী এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা কবে শপথ নেবেন, সরকারি ভাবে এখনও তা জানানো হয়নি। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আগামী শনিবার কিংবা রবিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেবেন মোদী।
২০১৯ সালের শপথে বিমস্টেক গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদী। আমন্ত্রিত ছিলেন বাংলাদেশ, ভুটান, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং তাইল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধান। দশ বছর আগে ক্ষমতায় আসার পরেই প্রথম শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্ক গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলিকে আমন্ত্রণ জানান মোদী। সে বার এনডিএ-র শপথে হাজির ছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ় শরিফও। ২০১৯ সালে মোদীর সঙ্গে শপথ নেন ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ৯ জন প্রতিমন্ত্রী। এ বারে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই মোদীর মন্ত্রিসভায় এ বার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে দেখা যেতে পারে টিডিপি এবং জেডিইউ-র মতো দলগুলিকে।