জয়ের শংসাপত্র নিয়ে এসপির অবধেশ প্রসাদ। ছবি: পিটিআই।
উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ আসনটি বিজেপির কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। এই লোকসভা কেন্দ্রেই রয়েছে অযোধ্যার রামমন্দির। মনে করা হয়েছিল, রামমন্দিরকে সামনে রেখে হিন্দুত্বের আবেগ উস্কে এ বারও ওই কেন্দ্রে জয় হাসিল করবে পদ্মশিবির। কিন্তু ফৈজাবাদের দু’বারের সাংসদ লাল্লু সিংহকে ৫০ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়ে দেন এসপির অবধেশ প্রসাদ। ‘অপ্রত্যাশিত’ জয়ের পর তাঁর দাবি, রামের আশীর্বাদ এবং মানুষের ভালবাসাতেই সাফল্য এসেছে।
‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে উত্তরপ্রদেশের ন’বারের সাংসদ অবধেশ বলেন, “রামমন্দিরকে সামনে রেখে বিজেপি রাজনৈতিক সুবিধা পেতে চেয়েছিল। চেয়েছিল বেকারত্ব, দারিদ্র, মুদ্রাস্ফীতি কিংবা কৃষকদের সমস্যার মতো বিষয়গুলি থেকে মানুষের মনোযোগ সরে যাক।” গত লোকসভা নির্বাচনে এই ফৈজাবাদ কেন্দ্রে বিজেপির কাছে প্রায় ৬৫ হাজার ভোটে হেরে গিয়েছিলেন এসপি প্রার্থী। সেই কেন্দ্রে কোন জাদুতে এ বার জয় এল? প্রশ্নের উত্তরে অবধেশ বলেন, “আমি দলিত ভাইবোনদের থেকে সবচেয়ে বেশি সমর্থন পেয়েছি। দলিত সম্প্রদায় গত বারে বিজেপিকে সমর্থন করেছিল। তা ছাড়া ওবিসি এবং সংখ্যালঘু ভোটও আমরা পেয়েছি।”
জেতার জন্য আলাদা কোনও কৌশল ছিল কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে অবধেশ বলেন, “আমার আলাদা কোনও পরিকল্পনা ছিল না। এই জয় সম্ভব হয়েছে প্রভু রাম এবং হনুমানজির আশীর্বাদ এবং মানুষের ভালবাসায়। আমি মনে করি এই তিন শক্তি আমার জয়কে সুনিশ্চিত করেছে।” প্রসঙ্গত, বিজেপির রাজনৈতিক ‘হৃদয়ভূমি’ বলে পরিচিত উত্তরপ্রদেশে পদ্মশিবিরকে ধাক্কা দিয়ে ৩৭টি আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে অখিলেশের দল। অনেকেই মনে করছেন, জাতের অঙ্ক মাথায় রেখে প্রার্থী বেছে বিজেপির মেরুকরণের রাজনীতিকে রুখে দিতে পেরেছেন অখিলেশ। মুলায়ম-পুত্রকে কৃতিত্ব দিয়ে অবধেশ বলেন, “জয়প্রকাশ নারায়ণ, রামমনোহর লোহিয়ার মতো সমাজবাদী নেতাদের স্বপ্নপূরণ করবেন অখিলেশ।”