(বাঁ দিকে) দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। অমিত শাহ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রে লোকসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। তার দায় নিয়ে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন পদ্মের শীর্ষনেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীস, যিনি ওই রাজ্যের একনাথ শিন্ডে সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রীও। কিন্তু সেই ইস্তফাপত্র গ্রহণ করলেন না অমিত শাহ। শুক্রবার দেবেন্দ্র তাঁর বাড়িতে গিয়ে এ ব্যাপারে কথা বললে শাহ তাঁকে নিরস্ত করেন। সূত্রের খবর, শাহ তাঁকে এ-ও বলেন, এখনই যদি তিনি ইস্তফা দেন, তবে মহারাষ্ট্রে বিজেপি কর্মীরা আরও আশাহত হয়ে পড়বেন।
মহারাষ্ট্রে ৪৮টি আসনের মধ্যে গত লোকসভা ভোটে ৪১টি আসন জিতেছিল এনডিএ। সেই সময় এনডিএতে ছিল বিজেপি এবং উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন অবিভক্ত শিবসেনা। এ বছর সেই সমীকরণ বদলেছে। এখন এনডিএর শরিক শিন্ডের শিবসেনা এবং অজিত পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি। এ বছর নতুন এনডিএ জোট মহারাষ্ট্রে জিতেছে সাকুল্যে ১৭টি আসন। যার মধ্যে বিজেপির হাতে এসেছে কেবল ন’টি আসন। অন্য দিকে মহারাষ্ট্রে ভাল ফল করেছে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। তারা পেয়েছে ৩০টি আসন। মঙ্গলবার এই ফলঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই খারাপ ফলের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে ইস্তফা দিতে চেয়েছিলেন মহারাষ্ট্রে বিজেপির শীর্ষনেতা দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। তবে সেই ইস্তাফাপত্র গ্রহণ করেননি শাহ।
শুক্রবার ছিল এনডিএর বৈঠক। সেই বৈঠকের পরেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে এবং দুই উপমুখ্যমন্ত্রী পওয়ার এবং ফড়ণবীসকে নিয়ে বৈঠকে বসেন শাহ। আগামী ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি উঠে আসে ফড়ণবীসের ইস্তফা প্রসঙ্গ। শাহ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি ওই ইস্তফা গ্রহণ করবেন না। ফড়ণবীস যেন মহারাষ্ট্রে তাঁর দায়িত্ব যথাবিধি পালন করেন।
প্রসঙ্গত, মহারাষ্ট্রে আগামী বছরই বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনই হবে মহারাষ্ট্রের শিন্ডে সরকারের প্রথম নির্বাচনী পরীক্ষা। ২০২২ সালে মহারাষ্ট্রের মহাবিকাশ আঘাডী সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করে যে নতুন সরকার তৈরি হয়েছিল, তার নেপথ্যে শাহ ফর্মুলা কাজ করেছিল বলে মনে করেছিলেন অনেকে। সেই ঘটনার পর ২০২৪ এর লোকসভা ভোট ছিল প্রথম নির্বাচন। তবে এই নির্বাচন রাজ্যে সরকার গড়ার নির্বাচন ছিল না। ছিল কেন্দ্রীয় সরকার গঠনের। তাই পরবর্তী নির্বাচনে যাতে এনডিএ আর খারাপ ফল না করে, সে ব্যাপারেই আপাতত মনোযোগী হতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব।