Lok Sabha Election 2024

ভোটের চাঁদার জুলুম, ক্ষোভ সন্দেশখালিতে

সন্দেশখালির প্রতিবাদ আন্দোলনে সে কথাই বার বার উঠে এসেছে। এর পরেও লোকসভা ভোটের খরচ বাবদ স্থানীয়দের কাছ থেকে জোর করে পাঁচশো থেকে দু’হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন অনেকে।

Advertisement

নির্মল বসু 

বসিরহাট শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২৪ ০৮:৪৬
Share:

—প্রতীকী ছবি।

জমি দখলের প্রতিবাদে সন্দেশখালির আন্দোলন নিয়ে যখন গোটা দেশ সরগরম, তখন নির্বাচনের খরচ বাবদ জোর করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠল সেই সন্দেশখালিতেই। হাড়োয়া, মিনাখাঁ-সহ সন্দেশখালির বিস্তীর্ণ এলাকায় এখন বাগদা চিংড়ির চাষ হয়। ভূমি দফতরের হিসেব অনুযায়ী, শুধু সন্দেশখালিতেই মাছ চাষের জমি রয়েছে আনুমানিক ৪০ হাজার বিঘা। এক সময়ে সেখানে কৃষিকাজ হত। অভিযোগ, সেই কৃষিজমি লিজ়ের নামে কার্যত দখল করে ভেড়ি বানিয়েছেন শাসকদলের বহু নেতা। সন্দেশখালির প্রতিবাদ আন্দোলনে সে কথাই বার বার উঠে এসেছে। এর পরেও লোকসভা ভোটের খরচ বাবদ স্থানীয়দের কাছ থেকে জোর করে পাঁচশো থেকে দু’হাজার টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন অনেকে।

Advertisement

সন্দেশখালির বাসিন্দা মামনি পাত্র, কমলা মণ্ডল, জাহির গাজিরা বলেন, ‘‘সন্দেশখালি, মিনাখাঁ, হাড়োয়া এলাকার সাধারণত জমি লিজ় হয় বছরে বিঘা প্রতি ১৪-১৫ হাজার টাকা করে। যাঁর জমি তিনি পান সাকুল্যে দু’তিন হাজার টাকা। বাকি টাকা চলে যায় রাজনৈতিক নেতাদের হাতে। এর সঙ্গে রয়েছে, ভোট এলেই চাঁদার জুলুম।’’

প্রশাসনের তরফে অবশ্য এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বিধায়ক তৃণমূলের সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘‘এ রকম কয়েকটি ঘটনা সত্য হলেও অধিকাংশই মিথ্যা। কারও অভিযোগ থাকলে আমাদের কাছে আসতে পারেন। আমরা দেখব।’’ নকুল বর্মণ, পলাশ নন্দী নামে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ‘‘ভয় দেখিয়ে আমাদের জমি কেড়ে দুষ্কৃতীরা নদীবাঁধ কেটে নোনা জল ঢোকায়। কত বার অভিযোগ করেছি, কেউ আমাদের কথা শোনেনি। উল্টে, ভোটের জন্য চাঁদা হিসাবে টাকার দাবি চলছেই।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement