মনোনয়ন জমা দিতে যাবার সময় তৃণমূলের মিছিল আলিপুরদুয়ার শহরে, (বাঁ দিকে) মনোনয় জমার পরে আলিপুরদুয়ার শহরে বিজেপির মিছিল (ডান দিকে)। ছবি নারায়ন দে।
আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে লোকসভা ভোটে তৃণমূল ও বিজেপির প্রার্থী শুক্রবার একই দিনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। জেলাশাসকের দফতরে দুই দলের প্রার্থীর মধ্যে সৌজন্য বিনিময়ও হয়।
তবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় এ দিন টিগ্গার পাশে দেখা যায়নি আলিপুরদুয়ারের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লাকে।
দলের কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থককে নিয়ে এ দিন দুপুরে জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান তৃণমূল প্রার্থী প্রকাশ চিক বরাইক। অনুমতি নিতে দেরি করায় অবশ্য মিছিল করে জেলাশাসকের দফতরে যেতে পারেননি বিজেপির প্রার্থী মনোজ টিগ্গা। মনোয়নয়পত্র জমা দেওয়ার পরে, বিকেলে শহরের বুকে টিগ্গাকে নিয়ে বিজেপির মিছিল বেরোয়।
দলের প্রার্থী তথা রাজ্যসভার সদস্য প্রকাশ যে এ দিনই তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দিতে চলেছেন, তা তৃণমূলের তরফে দিন কয়েক আগেই জানানো হয়। পরে বিজেপির তরফেও জানানো হয়, একই দিনে তদের প্রার্থী তথা মাদারিহাটের বিধায়ক টিগ্গাও মনোনয়নপত্র জমা দেবেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, দুই দলই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে, আলিপুরদুয়ার শহরে মিছিল করার আবেদন করেছিল। কিন্তু তৃণমূলের আবেদন আগে পৌঁছয়। পরে একই জায়গা থেকে মিছিল করার আবেদন করে বিজেপি। ফলে, দুপুরে তৃণমূল মিছিলের অনুমতি পেলেও, বিজেপি সেই অনুমতি পায় বিকেলে।
এই পরিস্থিতিতে প্রকাশের আগেই আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পৌঁছে যান টিগ্গা। কয়েক হাজার মানুষকে নিয়ে মিছিল করে কিছুটা পরে সেখানে পৌঁছন প্রকাশ। জেলাশাসকের দফতরের সাত তলায় দুই প্রার্থীর মুখোমুখি দেখাও হয়ে যায়। হাসিমুখে করমর্দন করে সৌজন্য বিনিময় করেন দু’জন।
প্রকাশ পরে বলেন, “এ বারের লোকসভা নির্বাচনে গোটা জেলার মানুষ আমাদের সঙ্গেই রয়েছে। দুপুরে দলের মিছিলে সেটাই প্রমাণিত হয়েছে।” টিগ্গা পাল্টা বলেন, “গোটা জেলার মানুষ কাদের পক্ষে রয়েছে, তৃণমূল নেতারা বিকেলে আমাদের মিছিল দেখেই বুঝে গিয়েছেন।”
কিন্তু মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ দিনে বার্লা কেন দলের প্রার্থীর পাশে নেই? টিগ্গার কথায়, “ওঁর স্ত্রী অসুস্থ। তাই ওঁর পক্ষে এ দিন আলিপুরদুয়ারে আসা সম্ভব হয়নি। তবে ওঁর আশীর্বাদ আমার মাথায় রয়েছে।” যদিও এ নিয়ে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে বার্লা এ দিনও ফোন ধরেননি।