বাঁ দিক থেকে: অখিলেশ যাদব, ললিতেশপতি ত্রিপাঠী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: পিটিআই এবং ইনস্টাগ্রাম।
বাংলায় বৈরিতা থাকলেও, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ ক্রমেই ঐক্যের নিদর্শন তৈরি করছে উত্তরপ্রদেশে। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল তথা ইন্ডিয়ার জোটসঙ্গী সমাজবাদী পার্টি (এসপি) সেখানে তৃণমূলকেও একটি আসন ছেড়েছে। শুক্রবারই সেই প্রার্থীর নাম এবং কেন্দ্রের ঘোষণা করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
উত্তরপ্রদেশের মোট ৮০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৭টি আসন আগেই কংগ্রেসকে ছেড়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। এ-ও বলেছিলেন যে, বাকি ৬৩টি আসনে এসপি এবং অন্য জোটসঙ্গীরা ভাগাভাগি করে লড়বে। অখিলেশের দলের সেই আসন ভাগাভাগির অংশ এসেছে তৃণমূলের কাছেও।
শুক্রবারই নিজেদের তৃতীয় লোকসভা প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করে উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি লোকসভা কেন্দ্রটি তৃণমূলের জন্য ছেড়েছিল অখিলেশের এসপি। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই একটি প্রেস বিবৃতি জারি করে তৃণমূল জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশের ভাদোহি থেকে ভোটে লড়বেন তাদের প্রার্থী ললিতেশপতি ত্রিপাঠী। উল্লেখ্য, এই ললিতেশপতি গত ১০ জানুয়ারি কলকাতায় এসেছিলেন। যোগ দিয়েছিলেন ব্রিগেডে তৃণমূলের জনগর্জন সভাতেও। ব্রিগেডের মঞ্চে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
উল্লেখ্য এই ললিতেশ হলেন উত্তরপ্রদেশের এক রাজনৈতিক ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবার দাদু ছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলাপতি ত্রিপাঠী। বর্তমানে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য হলেও এর আগে কংগ্রেসে ছিলেন। তিনি প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত ছিলেন রাজনৈতিক মহলে। আবার অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রয়েছে তাঁর।
২০১২ সালে কংগ্রেসের টিকিটে উত্তরপ্রদেশের মাদিহান বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন ললিতেশ। কিন্তু ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের প্রার্থী হয়ে হেরে যান। পরে অবহেলার অভিযোগ করে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা নিজে তাঁকে তৃণমূলের সদস্যপদ দিয়েছিলেন।
যে ভাদোহি থেকে উত্তরপ্রদেশে লোকসভা নির্বাচনে লড়ছে তৃণমূল, লোকসভা কেন্দ্র হিসাবে তার অস্তিত্ব তৈরি হয় প্রথম ২০০৯ সালে। মায়াবতীর দল বহুজন সমাজ পার্টি প্রথম ওই আসন জেতে। তার পর থেকে পর পর দু’বছর এই লোকসভা আসনে জেতে বিজেপি। ২০২৪ সালে এই আসনে কে জেতে, সে দিকে নজর থাকবে।