অজয় এডওয়ার্ডস এবং অনীত থাপা। নিজস্ব চিত্র।
লোকসভা ভোটের মুখে ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ) প্রধান অনীত থাপার বিরুদ্ধে রাজ্য প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেন হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ড।
বিষয়টি জানানো হয়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী, রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং জিটিএ-র প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে। বুধবারের অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তের প্রাথমিক স্কুলে স্কুলে অনীতের ছবি দেওয়া ডায়েরি বিলি করা হচ্ছে, যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে সঠিক নয়। একমাত্র রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রধান বিচারপতির ছবি সরকারি কাজে বিজ্ঞাপনে দেওয়া যেতে পারে। ভোটের মুখে এটা ইচ্ছাকৃত ভাবে করে ছেলেমেয়েদের পরিবারগুলিকে প্রভাবিত করা হচ্ছে।
অজয়ের দাবি, ‘‘ভোটের আগে শিক্ষা ব্যবস্থাকেও রাজনীতির আঙিনায় টেনে আনা হচ্ছে। অনীত শুধু প্রশাসন নন, একটি রাজনৈতিক দলের সভাপতিও। তাই এমন প্রচার স্কুলে সঠিক নয়।’’
অজয় বর্তমানে লাদাখে সেখানকার জনজাতিদের একটি আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। যদিও হামরো পার্টির সভাপতির দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে অনীত বলেন, ‘‘অজয়েরা পুরোপুরি হোমওয়ার্ক করে আসেননি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে নতুন নির্দেশ দেশের প্রধান আদালত থেকে জারি হয়েছে। সেটা দেখতে হবে। ওঁরা হয় ইচ্ছাকৃত ভাবে বা না জেনে তা চেপে গিয়েছেন।’’ তিনি জানান, কেন্দ্রের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাড়ু সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করেছিল। তাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যের মন্ত্রী এবং রাজ্যপালদের ছবিও সরকারি বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে। আর জিটিএ প্রধানের পদ রাজ্যের মন্ত্রীদের সমতুল্য।
জিটিএ সূত্রের খবর, এ মাস থেকে দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ের বিভিন্ন প্রাইমারি স্কুলে পড়ুয়াদের বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু হয়েছে। জিটিএ-র তরফে বই ছাড়াও, ডায়েরি দেওয়া হচ্ছে। সেখানে ডায়েরির শুরুতে অনীতের ছবি নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়েছে। অজয়ের দাবি, পুরোটাই লোকসভা ভোটকে ঘিরে চলছে। সেখানে আদালতের রায় দেখে নেওয়া হবে।
পাহাড়ের বর্তমান শাসক দল প্রজাতান্ত্রিক মোর্চাক নেতারা জানান, কেন্দ্র থেকে রাজ্য স্তরে সরকারি বিজ্ঞাপনে শাসক দলের মুখ্যমন্ত্রী থেকে মন্ত্রীদের ছবি থাকে। প্রতিটি প্রকল্পের প্রচার থেকে নানা অনুষ্ঠানে ছবির ব্যবহার করা হয়। ভোটের রাজনীতিতে এটা স্বাভাবিক। সেখানে ডায়েরিতে জিটিএ প্রধানের ছবি বা বক্তব্য রাখা যাবে না কেন? পাহাড়ে জিটিএ একটি স্বশাসিত সংস্থা। কেন্দ্র ও রাজ্যের সমন্বয়ে জিটিএ চলে। তাই সেই আইন মেনেই জিটিএ কাজ করছে।