মণীশ তিওয়ারি। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক টানাপড়েন অব্যাহত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ে। সোমবার ওই আসনে শিরোমণি অকালি দলের ঘোষিত প্রার্থী দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি, বিজেপির এক ঝাঁক নেতা-কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এর ফলে ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে চলে গেল বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।
২০১৪ এবং ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে চণ্ডীগড়ে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির কিরণ খের। এ বার অভিনেতা অনুপম খেরের স্ত্রীর বদলে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন পঞ্জাবের নেতা সঞ্জয় টন্ডন। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছেন আম আদমি পার্টি (আপ) সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি। আগামী ১ জুন সপ্তম তথা শেষ দফায় ওই আসনে ভোটগ্রহণ।
এই পরিস্থিতিতে চণ্ডীগড়ের প্রবীণ বিজেপি নেতা নরেন্দ্র চৌধুরী সোমবার মণীশ এবং চণ্ডীগড় কংগ্রেসের সভাপতি এইচএস লাকির উপস্থিতিতে ‘হাত’ শিবিরে শামিল হন। তাঁর সঙ্গে দল পরিবর্তন করেন বিজেপির শতাধিক নেতা-কর্মী। নরেন্দ্র বলেন, ‘‘বিজেপি দেশের সাংবিধানিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাইছে। তাদের আচরণ জনজাতি, দলিত এবং অনগ্রসর বিরোধী।’’
অন্য দিকে, ওই আসনে অকালি দলের ঘোষিত প্রার্থী হরদেব সিংহ সোমবার দল ছাড়ার ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘দলের তরফে ভোটে লড়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ এবং অন্যান্য সাহায্য না পেয়েই এই সিদ্ধান্ত নিলাম।’’ চণ্ডীগড় পুরসভার তিন বারের কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মঙ্গলবার দল পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করতে পারেন বলে জল্পনা রয়েছে।