ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু এলাকা। — নিজস্ব চিত্র।
দুর্যোগে বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের কয়েকটি ভোটকেন্দ্র (পোলিং স্টেশন)। জানালেন অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগী। তিনি জানান, ১১টি পোলিং স্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলি মেরামতের কাজ চলছে।
অরিন্দম জানান, কমিশনের কাছে নির্বাচনী বিধি ভাঙা-সহ বিভিন্ন ভোট সংক্রান্ত সবচেয়ে বেশি অভিযোগ এসেছে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হাওড়া জেলা থেকে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) দফতর জানিয়েছে, ভোটের প্রস্তুতি এবং বিভিন্ন অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতে বুধবার বিশেষ পর্যবেক্ষক অলোক সিন্হা রাজ্যে আসছেন।
সাংবাদিক বৈঠকে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, ভোট ঘোষণার পর থেকে রাজ্যে অভিযান চালিয়ে মোট ৭ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা হিসাব-বহির্ভূত নগদ এবং আনুমানিক ২৬ কোটি ৩ লক্ষ টাকার খয়রাতি সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে, ১৩ লক্ষ ২০ লিটার মদ এবং প্রায় সাড়ে ৩৬ হাজার কিলোগ্রাম বিভিন্ন ধরনের মাদক। যার আনুমানিক বাজারমূল্য যথাক্রমে, ৩৫ কোটি ২২ লক্ষ এবং ১৮ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় রাজ্যের তিনটি লোকসভা কেন্দ্র কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভোটগ্রহণ হবে। তার আগে রবিবার আচমকা ঝড়বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ি শহর, ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে রাতে জানান মুখ্যমন্ত্রী। যে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু’জন জলপাইগুড়ি শহরের বাসিন্দা। এক জন গোসালা মোড়ে এবং অন্য জন সেন পাড়ায় থাকতেন। আরও দু’জন ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
সকলের বাড়িতেই রবিবার রাতে গিয়েছিলেন মমতা। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। ঝড়ের তাণ্ডবে বহু মানুষ জখম হয়েছেন। আহতের সংখ্যা শতাধিক। তাঁরা কেউ কেউ জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কয়েক জনকে ভর্তি করানো হয়েছে শিলিগুড়ির হাসপাতালে। রাতেই হাসপাতালে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন মমতা।