—প্রতীকী চিত্র।
একটি নয়। আজ, শনিবার ভোট দিতে ঢুকে দু’টি ব্যালট যন্ত্র দেখতে পাবেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারেরা। একটি ব্যালট যন্ত্রে ১৬ জন প্রার্থীর নাম থাকবে, অন্য ব্যালট যন্ত্রে থাকবে শুধুই নোটা (নান অব দ্য অ্যাভব)-র বোতাম।
প্রশাসন সূত্রের খবর, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একটি ব্যালট যন্ত্রে সর্বাধিক ১৬ জন প্রার্থীর নাম থাকতে পারে। এ বার যাদবপুরে ১৬ জনই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নোটা ধরে মোট বোতামের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৭। একটি ব্যালট যন্ত্রে ১৬ জন প্রার্থীর নাম-সহ ১৬টি বোতাম থাকছে। ১৭তম অর্থাৎ, নোটা-র বোতামের জন্য থাকছে আলাদা ব্যালট যন্ত্র।
প্রসঙ্গত, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের তিনটি অংশ। প্রথমটি কন্ট্রোল ইউনিট (সিইউ), যেখান থেকে ভোট প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হয়। দ্বিতীয়টি ব্যালট যন্ত্র, যার মাধ্যমে ভোটারেরা ভোট দেন। তৃতীয়টি হল ভিভিপ্যাট, অর্থাৎ ভোট দেওয়ার পরে ঠিক জায়গায় সেই ভোট পড়ল কি না, তা যেখানে দেখা যায়। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, একটি কন্ট্রোল ইউনিটের অধীনে সাধারণত একটিই ব্যালট যন্ত্র থাকে। তবে, প্রয়োজনে অতিরিক্ত ব্যালট যন্ত্র ব্যবহার করা যায়। যাদবপুরের ক্ষেত্রে সেটিই হয়েছে। একটি কন্ট্রোল ইউনিটের অধীনে সর্বাধিক চারটি ব্যালট যন্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানান কমিশনের এক আধিকারিক।
শুক্রবার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ভোটকর্মীদের ইভিএম-সহ প্রয়োজনীয় জিনিস বিলি করা হয়। দু’টি ব্যালট যন্ত্র নিয়ে প্রাথমিক ভাবে কিছুটা বিভ্রান্তি তৈরি হয় তাঁদের মধ্যে। পরে বিষয়টি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। অনেকেই জানান, আগে কখনও একাধিক ব্যালট যন্ত্র ব্যবহার করতে হয়নি তাঁদের। দু’টি ব্যালট যন্ত্র নিয়ে যাওয়া, ভোট কেন্দ্রে বসানো, ভোট নেওয়া-সহ গোটা প্রক্রিয়ায় খাটনি বাড়বে বলেই জানান তাঁরা।
ভোটদাতাদের মধ্যে কোনও বিভ্রান্তি তৈরি হবে কি না, সেই প্রশ্নও উঠছে। একটি রাজনৈতিক দলের এক কর্মী বলেন, “ব্যালট যন্ত্রে প্রথম বোতাম আমাদের। গ্রামীণ এলাকায় সে ভাবেই মানুষকে বোঝাচ্ছি। এখন কেউ যদি প্রথম ব্যালট যন্ত্রের বদলে দ্বিতীয় ব্যালট যন্ত্রের প্রথম বোতাম টিপে দেন, তা হলে সেই ভোট নোটায় চলে যাবে।”
যদিও নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, “কোনও সমস্যা হবে না। বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য ভোটকর্মীরা থাকবেন। আরও কয়েকটি কেন্দ্রেও একাধিক ব্যালট যন্ত্র থাকছে।” তবে শুধু নোটা-র জন্য আলাদা ব্যালট যন্ত্রের ব্যবস্থা আগে করতে হয়েছে কি না, তা মনে করতে পারেননি তিনি।