রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোট সংখ্যা ৫৯৭ কোম্পানিতে পৌঁছে যেতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রের দাবি। —ফাইল চিত্র।
চতুর্থ দফার আগেই রাজ্যে পৌঁছতে চলেছে আরও প্রায় ১৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। তার ফলে ওই দফার আগে রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোট সংখ্যা ৫৯৭ কোম্পানিতে পৌঁছে যেতে পারে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রের দাবি। তার পরের তিন দফায় আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে। তবে রাজ্য পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, এখন যা পরিকল্পনা তাতে সপ্তম দফায় সর্বোচ্চ ৬৮৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হতে পারে। প্রসঙ্গত, ভোট ঘোষণার আগে কমিশন এ রাজ্যের জন্য সর্বোচ্চ ৯২০ কোম্পানি বাহিনীর প্রস্তাব পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। রাজ্য পুলিশের ওই সূত্রের মতে, সম্ভবত শেষ পর্যন্ত ৯২০ কোম্পানি বাহিনী রাজ্যের ভোটে আসবে না।
মঙ্গলবার তৃতীয় দফার সব আসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক করেন কমিশনের কর্তারা। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে প্রথম দু’দফায় ভোটের হার তুলনায় কম হওয়া নিয়ে আলোচনা হয়ছে। দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের নির্দেশ, ভোটারদের বুথমুখী করতে এসএমএস-প্রচারও চালাতে হবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতরকে।
কমিশন সূত্রের দাবি, এ রাজ্য-সহ গোটা দেশে প্রথম দু’দফার ভোটে ভোটদানের হার কম হয়েছে। তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে কমিশন-কর্তাদের মধ্যে। তা নিয়ে আলোচনা ছাড়াও চলতি তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে ভোটকেন্দ্রগুলিতে ছাউনি, জল, চিকিৎসা-সহ ভোটারদের সুবিধা কতটা রয়েছে, তা ফের খতিয়ে দেখেন দেশের রাজীব কুমার-সহ কর্তারা।
আগামী ৭ মে তৃতীয় দফায় মালদহ-উত্তর, মালদহ-দক্ষিণ, জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদ আসনে ভোট আছে। সেই ভোটে দু’টি জেলাকেই সংবেদনশীল ধরে নিয়ে পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ আগেই দিয়েছিলেন কমিশনের কর্তারা। এ দিন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে বাহিনী মোতায়েন থেকে নজরদারি—সব প্রশ্নেই প্রত্যেকের করণীয় স্থির করে দিয়েছে দিল্লির নির্বাচন সদন। প্রথম দু’টি দফায় যে কৌশলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা গিয়েছিল, তা বজায় রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রথম দফার তুলনায় চতুর্থ দফায় দ্বিগুণের বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চাইছেন কমিশনের কর্তারা। প্রথম দফায় ২৭৭ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন হয়। দ্বিতীয় দফায় ৩০৩ কোম্পানি। তৃতীয় দফায় আরও ১০৩ কোম্পানি যুক্ত হয়ে ৪০৬ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন হবে। চতুর্থ দফায় পুরোপুরি দক্ষিণবঙ্গে ভোট হবে। সেই ভোটে ৫৯৬ কোম্পানি বাহিনী মোতায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রশাসনের একাংশের মতে, উত্তরের তুলনায় দক্ষিণবঙ্গের পরিস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখনও যা পরিকল্পনা হয়েছে তাতে পঞ্চমে ৬২৪, ষষ্ঠ এবং সপ্তম দফায় ৬৮৯ কোম্পানি করে বাহিনী মোতায়েন থাকতে পারে।