রাহুল গান্ধী (বাঁ দিকে) এবং অরবিন্দ কেজরীওয়াল। —ফাইল চিত্র।
চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বেঁধে লড়াই করেছিল কংগ্রেস এবং আপ। কিন্তু লোকসভায় পঞ্জাবে তেমন কোনও জোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় খারিজই করে দিলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। জানিয়ে দিলেন, পঞ্জাবের সব আসনেই লড়াই করবে আপ। শীঘ্রই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
বিভিন্ন রাজ্যে আসন বোঝাপড়া নিয়ে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র শরিক দলগুলির মধ্যে মতান্তরের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ইতিমধ্যেই বিরোধী জোট ছেড়ে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে নাম লিখিয়েছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। এনডিএ-তে শামিল হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধরিও। এই আবহে পঞ্জাবেও বিরোধী জোটের একসঙ্গে ভোটে লড়া নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
শনিবার পঞ্জাবে দাঁড়িয়ে কেজরীওয়াল বলেন, “রাজ্যের ১৩টি আসনে এবং চণ্ডীগড়ের একটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে আপ।” প্রসঙ্গত, পঞ্জাবে ১৩টি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ে একটি লোকসভা আসন রয়েছে। গত লোকসভায় কংগ্রেস পঞ্জাবে ৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল। শিরোমণি অকালি দল (এসএডি) এবং বিজেপি জোট বেঁধে লড়াই করে মোট ৪টি আসন পেয়েছিল। আপ পেয়েছিল একটি আসন। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলে অবশ্য চমক দেয় আপ। ১১৭টি আসনের মধ্যে ৯২টিতে জয়ী হয়ে সে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তারা। মাত্র ১৮টি আসন পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় কংগ্রেসকে।
মাঝে সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, কংগ্রেস এবং আপ নেতাদের মধ্যে জোটের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি হরিয়ানার একটি সভা থেকে কেজরীওয়াল নিজেই বলেছিলেন, “লোকসভা ভোট আসছে। আপনারা জানেন যে, আমরা দেশের সাধারণ নির্বাচনের জন্য বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ গঠন করেছি। তাই আমরা জোটের শরিক দলগুলির সঙ্গে বোঝাপড়া করেই নির্বাচনে লড়ব।” অবশ্য তারও কিছু দিন আগে আপশাসিত পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিংহ মান ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, আগামী লোকসভা ভোটে পঞ্জাবের ১৩টি আসনেই একক শক্তিতে লড়তে চান তাঁরা।
মান বলেছিলেন, “পঞ্জাবে আমরা একার শক্তিতেই লড়ার এবং জেতার ক্ষমতা রাখি।’’ আপের একটি সূত্র মারফত জানা যায়, দলের পঞ্জাব নেতৃত্বের তরফে ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ার বিষয়ে আপত্তির কথা জানানো হয়েছে কেজরীকে।