ইংরেজবাজারের মালঞ্চপল্লীতে দলীয় প্রতীক চিহ্ন এঁকে প্রচার শুরু করলেন বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। ছবি: স্বরূপ সাহা।
গত লোকসভা ভোটে হার। বিধানসভা নির্বাচনে জয়। যেখানে উত্তরবঙ্গের একাধিক আসনে দল প্রার্থী ঘোষণা করেনি, সেখানে প্রথম দফায় দক্ষিণ মালদহ লোকসভা আসনে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে প্রার্থী করা হল কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন বিজেপিরই একাংশের। শ্রীরূপা অবশ্য প্রার্থী হিসাবে নাম ঘোষণা হওয়ার পরে মন্দিরে পুজো দিয়ে রবিবার থেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। সোমবার শহরে সাফাই অভিযানেও প্রচার করেন।
গত লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণ মালদহ আসনে কংগ্রেস প্রার্থী আবু হাসেম খান চৌধুরী (ডালু) পান চার লক্ষ ৪৪ হাজার ২৭০ ভোট। বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা পান চার লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮ ভোট। লোকসভা ভোটে ৮,২২২ ভোটে হারলেও বিধানসভা নির্বাচনে ইংরেজবাজার আসন থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হন শ্রীরূপা।
কেন ফের শ্রীরূপাকেই প্রার্থী করা হল? বিজেপির একটি মহল জানাচ্ছে, গত লোকসভা নির্বাচনে হেরে গেলেও ও পরবর্তীতে দক্ষিণ মালদহ লোকসভা এলাকায় দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে নিয়মিত সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন ইংরেজবাজারের বিধায়ক। সাংগঠনিক দিক থেকেও পাঁচ বছরে এই লোকসভা আসনে বিজেপি শক্তিশালী হয়েছে।
তবে দক্ষিণ মালদহের বিজেপির নেতা-কর্মীদের একাংশের দাবি, দলের সাংগঠনিক জেলার মণ্ডল সভাপতিদের একাংশের মত ছিল না শ্রীরূপা টিকিট পান। সে কথা তাঁরা জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের একাংশের সঙ্গে 'যোগাযোগ' ভাল থাকায় ফের শ্রীরূপাকে প্রার্থী করা হয়ে থাকতে পারে বলে তাঁদের মত। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিজেপি নেতা-কর্মীর দাবি, ‘‘উনি ইংরেজবাজারের বিধায়ক হওয়ার পরে, নানা কাজে শংসাপত্র নিতে গিয়ে অনেককেই হয়রান হতে হয়েছে। দলের নেতাদেরও ওঁর সঙ্গে দেখা করার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছে। এ সব দলীয় স্তরে আলোচিত হলেও, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বিষয়টিতে গুরুত্ব না দেওয়ায় অনেকেই হতাশ।’’
যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। শ্রীরূপা বলেন, ‘‘দল যোগ্য মনে করেছে বলেই প্রার্থী করেছে। এ বার এই আসনে জয়ই আমাদের লক্ষ্য।’’ বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পার্থসারথি ঘোষও বলেন, ‘‘যোগ্য মনে করেছে বলেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীকে প্রার্থী করেছেন। লোকসভায় আট হাজার ভোট খুবই সামান্য ব্যবধান। ’’