Election Commission

দু’সপ্তাহে ৭৯ হাজার অভিযোগ, অধিকাংশই বেআইনি হোর্ডিং, ব্যানার সংক্রান্ত, জানাল কমিশন

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোনও রকম সন্ত্রাস এবং অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। ভোটের দিন ঘোষণার সময় তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। একাধিক পদক্ষেপের কথাও বলেছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫:১৩
Share:

নির্বাচন কমিশন। — ফাইল চিত্র।

বেআইনি হোর্ডিং, ব্যানার নিয়ে ভূরিভূরি অভিযোগ জমা পড়ছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেই সব অভিযোগ আসছে বলে খবর কমিশন সূত্রে। ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত হোর্ডিং, ব্যানার সংক্রান্ত অভিযোগের পরিসংখ্যান জানাল কমিশন।

Advertisement

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোনও রকম সন্ত্রাস এবং অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। ভোটের দিন ঘোষণার সময় তা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। একাধিক পদক্ষেপের কথাও বলেছিলেন তিনি। এ ছাড়াও নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ থাকলে সেটা জানানোর জন্য সি-ভিজিল অ্যাপও চালু করেছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, ভোট ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ওই অ্যাপে ৭৯ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ৭৩ শতাংশ অভিযোগ বেআইনি হোর্ডিং, ব্যানার সংক্রান্ত বিষয়ে।

শুধু বেআইনি হোর্ডিং, ব্যানার নয়, নির্বাচনী বিধিভঙ্গ সংক্রান্ত আরও অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে সি-ভিজিল অ্যাপে। কমিশন সূত্রে খবর, ওই অ্যাপে উপহার, মদ এবং টাকা বিতরণের মতো অভিযোগের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। এ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়ের পরেও মাইক বাজিয়ে প্রচার চালানোর অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনের কাছে।

Advertisement

কমিশন জানিয়েছে, উপহার, মদ এবং টাকা বিতরণের মতো নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগের সংখ্যা ১৪০০টি। নির্দিষ্ট সময়ের পরেও মাইক বাজিয়ে প্রচার চালানোর মতো অভিযোগ প্রায় হাজারখানেক। শুক্রবার কমিশনের তরফে দাবি করা হয়েছে, গত ১৪ দিনে প্রায় ৭৯ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। তার মধ্যে ৯৯ শতাংশ অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভোট ঘোষণার সময়ই কমিশন জানিয়ে দিয়েছিল, নির্বাচনে হিংসার জায়গা নেই। সেই সঙ্গেই এ-ও বলা হয়েছিল যে, কোথাও নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের কোনও ঘটনা হলে তৎক্ষণাৎ তা কমিশনারের নজরে আনা যেতে পারে। নাগরিকেরা প্রয়োজনে কমিশনের মূল ওয়েবসাইটে গিয়ে অভিযোগ জানাতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, ন্যাশনাল কন্ট্যাক্ট সেন্টারেও ফোন করে নিজেদের অভিযোগ নথিভুক্ত করা সুযোগ রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে সি-ভিজিল অ্যাপ।

কমিশনের সি-ভিজিল অ্যাপে নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ জমা দিতে পারেন ভোটারেরা। কমিশনের বক্তব্য, ওই সব অভিযোগ জমা পড়ার ১০০ মিনিটের মধ্যে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। সেখানে একাধিক বিষয়ে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে। শুক্রবার কমিশন জানিয়েছে, গত দু’সপ্তাহে সি-ভিজিল অ্যাপে জমা পড়া মোট অভিযোগের ৮৯ শতাংশ ১০০ মিনিটের মধ্যে সমাধান করা গিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement