RJD-Congress Tug-of-war in Bihar

পাপ্পুকে পূর্ণিয়া ছাড়লেন না লালু-তেজস্বী, অনিশ্চিত তারিকও, আরজেডির শর্ত মেনেই জোট চূড়ান্ত বিহারে

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অখিলেশ প্রসাদ সিংহের উপস্থিতিতে শুক্রবার আরজেডি মুখপাত্র মনোজ ঝা বিজেপি বিরোধী জোট ‘মহাগঠবন্ধন’-এ আসনরফার কথা ঘোষণা করেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৩:৫৯
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

টানা এক সপ্তাহের টানাপড়েনের পরে অবশেষে বিহারে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করল বিজেপি বিরোধী জোট ‘মহাগঠবন্ধন’। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, রফাসূত্র অনুযায়ী সে রাজ্যের ৪০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে আরজেডি ২৬, কংগ্রেস ৯, সিপিআইএমএল (লিবারেশন) ৩, সিপিএম ১, সিপিআই ১ আসনে লড়বে।

Advertisement

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অখিলেশ প্রসাদ সিংহের উপস্থিতিতে শুক্রবার আরজেডি মুখপাত্র মনোজ ঝা আসনরফার কথা ঘোষণা করেন। তবে কংগ্রেসের তরফে বার বার দাবি জানানো হলেও, পূর্ণিয়া আসনটি ‘বাহুবলী’ প্রাক্তন সাংসদ পাপ্পু যাদবকে ছাড়েনি লালুপ্রসাদ, তেজস্বী যাদবের দল। অন্য দিকে, কাটিহারের চার বারের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তারিক আনোয়ারকে আসন ছাড়ার বিষয়েও এখনও আরজেডি-কংগ্রেসের ‘টানাপড়েন’ চলছে বলে প্রকাশিত কয়েকটি খবরে দাবি।

আরজেডির তরফে বুধবার জানানো হয়েছিল, সদ্য দলে যোগ দেওয়া জেডিইউ বিধায়ক বীমা ভারতীকে পূর্ণিয়ায় টিকিট দেওয়া হতে পারে। তাই কংগ্রেসে যোগ দেওয়া পাপ্পুকে আসন ছাড়া সম্ভব নয়। দিল্লিতে কংগ্রেস শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে লালু-তেজস্বী তা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন বলে দলের একটি সূত্র জানাচ্ছে। মনোজ শুক্রবার বলেন, ‘‘জোটের অন্দরে আলোচনার পরে আমরা সর্বসম্মত ভাবে সমঝোতা চূড়ান্ত করেছি।’’

Advertisement

যদিও আরজেডির আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বিহার কংগ্রেসের অন্দরে। কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত অওরঙ্গাবাদে দলের প্রাক্তন সাংসদ নিখিল কুমারকেও লালুর দল আসন ছাড়েনি। নিখিলের বাবা, বিহারের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্রনারায়ণ সিংহ ছিলেন ওই কেন্দ্রের চার বারের সাংসদ। নিখিলের স্ত্রীও অওরঙ্গাবাদ থেকে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জিতেছিলেন। কিন্তু সেখানে একতরফা ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করে দিয়েছে আরজেডি। অন্য দিকে, কংগ্রেস জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমারের জন্য বেগুসরাই আসনটি চাইলেও তা একতরফা ভাবে সিপিআই-কে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিহারে আরজেডির সঙ্গে সমঝোতা করে ন’টি লোকসভা আসনে লড়েছিল কংগ্রেস। জিতেছিল কিসানগঞ্জে। লালুপ্রসাদ-তেজস্বীর দল ১৯টিতে লড়ে একটিতেও জিততে পারেনি। অন্য তিনটি আঞ্চলিক দলকে আরজেডি ১১টি আসন ছাড়লে তাদের ঝুলিও ছিল শূন্য। বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টিতে জিতেছিল বিজেপি-জেডিইউ-এলজেপির জোট। এ বার কংগ্রেসের পাশাপাশি তিন বাম দল— সিপিএম, সিপিআই এবং সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর সঙ্গেও আসনরফা করল আরজেডি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement