প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
আগের অবস্থান থেকে সরে এসে পঞ্চম দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা অন্তত ১২৬ কোম্পানি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। নতুন সিদ্ধান্তে ওই দফায় রাজ্যে ৭৫০ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। পাশাপাশি, শুক্রবারই আনন্দপুর এবং ডায়মন্ড হারবার থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি)-দের সংশ্লিষ্ট পদ থেকে অপসারণ করেছে কমিশন। এ দিনই চতুর্থ দফার বাহিনী মোতায়েন পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করেছে কমিশন।
আগামী ৭ মে তৃতীয় দফার ভোটে ৪০৬ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে। ১৩ মে চতুর্থ দফার আটটি আসনে ৫৭৮ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন চূড়ান্ত হয়েছে। কমিশনের আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০ মে, পঞ্চম দফায় ৬২৪ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করার কথা ছিল। এখন কমিশনের সিদ্ধান্ত, পঞ্চম দফায় শ্রীরামপুর, ব্যারাকপুর, বনগাঁ, আরামবাগ, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, হুগলিতে মোট ৭৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কমিশনের নির্দেশ, ১৪ মে-র মধ্যে ৫৮৪ এবং ১৬ মে-র মধ্যে বাকি ১৬৬ কোম্পানি বাহিনী পৌঁছে যেতে হবে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে।
কমিশন সূত্রের বক্তব্য, আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ষষ্ঠ এবং সপ্তম দফায় ৬৮৯ কোম্পানি করে বাহিনী মোতায়েন করার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সংখ্যাও যে বাড়বে, তা নিয়ে মোটামুটি নিশ্চিত সংশ্লিষ্ট মহল। পাশাপাশি, চতুর্থ দফার আটটি আসনে যে ভোট হবে তাতে সবচেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়েন হবে পূর্ব বর্ধমানে, ১৫২ কোম্পানি। বীরভূমেও দেওয়া হয়েছে ১৩০ কোম্পানি বাহিনী। এ ছাড়া আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটে ৮৮, কৃষ্ণনগরে ৮১, মুর্শিদাবাদে ৭৩, রানাঘাটে ৫৪ কোম্পানি বাহিনী থাকবে। সব মিলিয়ে রাজ্য পুলিশ থাকবেন ২২ হাজার ৬৭৬ জন। কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) থাকবে কমবেশি দেড়শো।
অন্য দিকে, এ দিনই এক নির্দেশিকায় কমিশন জানিয়েছে, আনন্দপুর এবং ডায়মন্ড হারবার থানার ওসিদের সংশ্লিষ্ট পদ থেকে সরিয়ে পাঠাতে হবে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন পদে। ওই দুই পদে নতুন নিয়োগের জন্য শনিবার সকাল ১১টার মধ্যে রাজ্যের থেকে নাম চেয়ে পাঠিয়েছে তারা।
প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, কয়েক দিন আগে আনন্দপুরে অশান্তির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ওসি-কে সরানো হয়েছে। ডায়মন্ড হারবারে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ ছিল সেখানকার ওসি-র বিরুদ্ধে।