— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
শেষ দফায়, আগামী ১ জুন ভোট রয়েছে কলকাতা পুলিশ এলাকায়। মোট পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে হবে লালবাজারকে। সেই ভোট-পর্ব শান্তিপূর্ণ ভাবে মেটাতে কলকাতা পুলিশের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ২৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। যার মধ্যে দশ কোম্পানি ইতিমধ্যেই শহরে রয়েছে। আজ, বুধবারের মধ্যে শহরে চলে আসার কথা আরও ২১ কোম্পানির। বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী আগামী শনিবার, ষষ্ঠ দফার ভোটের পরে শহরে চলে আসবে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর। তাদের সঙ্গে থাকছেন কলকাতা পুলিশের কয়েক হাজার পুলিশকর্মী। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা পুলিশ এলাকার ভোটের জন্য এসেছিল ১৪৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় লালবাজারের অধীনে চলে আসায় এ বার পাঁচটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটের নিরাপত্তা সামলাতে হবে লালবাজারকে। উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতার মতো লোকসভা কেন্দ্রের পুরোটাই রয়েছে কলকাতা পুলিশের অধীনে। এ ছাড়া, যাদবপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কিছুটা অংশও রয়েছে কলকাতা পুলিশের আওতাধীন এলাকায়। কলকাতা পুলিশ এলাকায় এ বার মোট বুথের সংখ্যা ৫১৫৮টি, ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৯৪০টি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের থেকে এ বার বুথের সংখ্যা কমে গেলেও ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
লালবাজার জানিয়েছে, এ বার ভোটের নিরাপত্তায় গোটা শহরে থাকছে ২৩০টি কুইক রেসপন্স টিম বা কিউআরটি। যাতে থাকবে এক সেকশন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে থাকবেন এক জন করে কলকাতা পুলিশের অফিসার। এ ছাড়া, থাকছে কলকাতা পুলিশের কর্মী-অফিসারদের নিয়ে গঠিত ৩৪৭টি সেক্টর মোবাইল। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকবে ওই সেক্টর মোবাইল। এ ছাড়াও থাকছে এইচআরএফএস এবং আরটি মোবাইল ভ্যান। সেগুলিতে অবশ্য থাকবে কলকাতা পুলিশের বাহিনী।
সূত্রের খবর, এ বার প্রতিটি বুথই স্পর্শকাতর। তাই প্রতিটি বুথেই থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কলকাতা পুলিশ এলাকায় এ বার একটি বুথের কেন্দ্রের সংখ্যা ২৮৫। দু’টি বুথ রয়েছে, এমন কেন্দ্রের সংখ্যা ৬০৪। আবার তিন এবং চার বুথ নিয়ে গঠিত ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৩১ এবং ২৮৭। সব্বোর্চ ১৫টি বুথ নিয়ে রয়েছে দু’টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র। একটি এবং দু’টি বুথ রয়েছে যেখানে, সেখানে থাকবেন হাফ সেকশন বা চার জন কেন্দ্রীয় জওয়ান। আবার তিন থেকে পাঁচ বুথ রয়েছে, এমন ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে থাকবেন এক সেকশন বা আট জন জওয়ান। ছ’টির বেশি বুথের কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকবে দেড় কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।